পীর ও তার পালিত কন্যাকে খুনের দায় স্বীকার করলেন আটকরা

দিনাজপুরে পীরসহ জোড়া খুনের ঘটনায় সন্দেহমূলকভাবে আটক হওয়া ২ জন আদালতকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে দিনাজপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন সন্দেহমূলকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হওয়ায় আরেক পীর এছাহাক আলী ও বোচাগঞ্জ উপজেলার দৌলা নামক এলাকায় কাদরিয়া মোহাম্মদিয়া দরবার শরীফের প্রধান খাদেম সাইদুর রহমান।

এছাহাক আলী কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি গ্রামের পীর আজিম উদ্দিনের ছেলে ও খাদেম সাইদুর রহমান বোচাগঞ্জের দৌলা গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের ছেলে।

দিনাজপুর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক শহীদ সরওয়ারদী জানান, সন্দেহমূলকভাবে আটক হওয়া আরেক পীর এছাহাক আলী ও খাদেম সাইদুর রহমানকে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দিনাজপুর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে আদালতের বিচারক এফএম আহসানুল হকের কাছে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

তিনি জানান, জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছে অভ্যন্তরীণ বিষয় ও মতপার্থকের জের ধরে তারা পরিকল্পিতভাবে পীর ফরহাদ হাসান চৌধুরী ও তার পালিত কন্যা রুপালী বেগমকে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছেন। পরিদর্শক জানান, এই মুহূর্তে তদন্তের স্বার্থে এসব নাম বলা যাচ্ছে না।

দিনাজপুরের পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, আটকদের বিষয় ও অস্ত্র উদ্ধারসহ যাবতীয় বিষয়ে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে বোচাগঞ্জ উপজেলার দৌলা নামক এলাকায় কথিত পীর ফরহাদ হাসান চৌধুরী ও তার পালিত মেয়ে রুপালী বেগম গুলি ও কুপিয়ে হত্যার শিকার হন। ফরহাদ হোসেন চৌধুরী দিনাজপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি। তিনি ছিলেন দিনাজপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। পরে ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচিত হন।