আয়ু ক্ষয়ের ১৭ কারণ

মৃত্যুকে অতিক্রম করার ক্ষমতা কোনো জীবিত সত্তার নেই। শাস্ত্রমতে মৃত্যু কারোর কাছে ‘প্রাপণীয়’ না হলেও, তা অনিবার্য। মানুষ তার জীবন পরিক্রমার পরে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলে, কিছুই বলার থাকে না। কিন্তু পরিক্রমা পূর্ণ হওয়ার আগেই যদি মৃত্যু আসে? সেই অসম্পূর্ণ জীবনের জন্য দায়ী করা যাবে কাকে? ‘শ্রীমদ্ভাগবদ্গীতা’ অনুযায়ী, আমাদের কৃতকর্মই আমাদের নিয়তিকে নির্ধারণ করে।

‘গরুড় পুরাণ’ থেকে জানা যায়, মৃত্যু-দেবতা যম স্বয়ং জানিয়েছেন- কোন কোন কৃতকর্ম মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করে। তার মতানুসারে, ১৭টি কাজ আমাদের মৃত্যুকে দ্রুত নিয়ে আসে। এই কাজগুলি থেকে নিজেকে বিরত রাখলে আয়ুবৃদ্ধি অবশ্যম্ভাবী। দেখা যাক সেই ১৭টি কাজ-

১. সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত এবং সূর্যগ্রহণের সময়ে সূর্যের দিকে তাকানো আয়ুক্ষয় করে।

২. নাস্তিকতা আয়ুনাশ করে। ধর্ম ও কর্মের পথকে অস্বীকার করা, ঈশ্বরের অস্তিত্বে সন্দেহ করা মানবতার বিপরীত কাজ।

৩. বয়স্ক মানুষের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন।

৪. ফলাফল না-জেনে কাজ করা।

৫. কুচিন্তা করা। নারী, শিশু তথা মানবতার ক্ষতিসাধনের চিন্তা করা।

৬. এক পায়ের উপরে আর এক পা তুলে বসা। এমন বসার ভঙ্গী মেরুদণ্ডের ক্ষয় ঘটায়।

৭. কৃষ্ণ ও শুক্ল চতুর্দশী, অষ্টমী তিথি এবং পূর্ণিমায় দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া।

৮. ভাঙা ও অপরিচ্ছন্ন আয়নায় প্রতিচ্ছবি দেখা।

৯. দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মাথা রেখে শোওয়া। এমন ভঙ্গি মৃ্ত্যুকে ত্বরান্বিত করে।

১০. সম্পূর্ণ অন্ধকার ঘরে ঘুমনো।

১১. ভাঙা খাটে ঘুমনো।

১২. প্রতিবন্ধী মানুষকে উপহাস করা।

১৩. কারোর কাছ থেকে কোনো কিছু ধার নেওয়া। বিশেষ করে, কাউকে জামা-কাপড়-জুতো দিলে বা নিলে তার নেগেটিভ এনার্জি সেই সঙ্গে চলে আসে।

১৪. নিষিদ্ধ বস্তু ভক্ষণ।

১৫. দেহে ও মাথায় একই তেল মাখা অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস।

১৬. এঁটো হাত দিয়ে লেখা বা পড়ার কাজ করা।

১৭. কারোর পিছনে তার ক্ষতি করার চেষ্টা বা তার সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলাও আয়ুর হ্রাস ঘটায়।