‘মিতুর মোবাইল থেকে এখনো ফোন আসে’

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় মিতুর মা শাহেদা বেগমকে বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সিএমপি দপ্তরে তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের কার্যালয়ে শাহেদা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের পাঁচ জুন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের বাসার কাছে হত্যা করা হয়। প্রায় তিন ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিতুর মা শাহেদা মোশারফ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এতদিন হয়ে গেলো এখনো মোটিভ জানা গেলো না। ঘটনায় যাই ঘটুক আমরা চাই তা বের হয় আসুক, খুনি যেই হোক তাকে ধরতে হবে।

সন্দেহভাজন প্রধান খুনি মুসা ও কালুকে এখনো ধরা যায়নি, অথচ মিতুর ব্যবহার করা মোবাইল ফোন এখনো খোলা। এই ফোন থেকে এখনো আমাদের কাছে কল আসে। আমরাও মাঝে মাঝে কল করলে ফোনটি খোলা পাই বলেও জানান তিনি।

শাহেদা মোশারফ বলেন, ‘মামলার বাদি হিসেবে বাবুল নিজেও এই ঘটনা তদন্ত করে খুনিদের বের করতে পারে। আমরা আশা করবো বাবুল খুনিদের ধরতে সব রকম সহযোগিতা করবে। বাদি হিসেবেও সে এটা খুঁজে দেখতে পারে। আমাদেরকে যেমন আজ ডাকা হয়েছে তেমনি বাবুলকেও ডাকা যেতো। সেও মুখোমুখি হয়ে কথা বলত পারতো। নানা রকম কথা বলা হচ্ছে, পক্রিয়ার কথাও আসছে। যেই জড়িত থাকুক; বাবুল হোক আর অন্য যেই হোক তাকে ধরা হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘তদন্তের জন্য মিতুর মাকে জিজ্ঞাস করা হয়েছে। আরো কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মিতু সম্পর্কে তার মা শাহেদা মোশারফের সাথে কথা বলা হয়েছে, সেখানে মিতুর বাবা মোশারফ সাহেবও ছিলেন।’

মিতু হত্যা মামলায় ইতোপূর্বে বাদি বাবুল আক্তার ও মিতুর বাবা মোশারফ হোসেনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মিতু হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত সাত আসামীকে গ্রেফতার করা হলেও এখনো প্রধান আসামী মুসা শিকদার ও তার অন্যতম সহযোগী কালুকে আটক করা যায়নি।