নেহেরু নপুংসক ছিলেন, মাউন্টব্যাটনের নাতির দাবি

স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা জওহর লাল নেহেরু নপুংসক ছিলেন বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ ভারতের সর্বশেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটনের নাতি অ্যাশলে হিকস।

মাউন্টব্যাটনের স্ত্রী লেডি এডুইনা মাউন্টব্যাটনের সঙ্গে নেহেরুর প্রেমের সম্পর্কের প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে অ্যাশলে এ দাবি করেন।

মাউন্টব্যাটন দম্পতির কন্যা লেডি পামেলা হিকসের ছেলে অ্যাশলে হিকস।

তার দাদির সঙ্গে নেহেরুর প্রেমের সম্পর্ক প্রসঙ্গে অ্যাশলে বলেন,  প্রধানমন্ত্রী নেহেরু আমার দাদির মহান বন্ধু ছিলেন।  তাদের মধ্যে প্লেটোনিক প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

তিনি বলেন, নেহেরুর বোন আমাকে বলেছেন দাদি ও তার প্রেমিকের মধ্যে যৌন সম্পর্ক হওয়া অসম্ভব ছিল, কারণ বহু বছর ধরেই নেহেরু পুরুষত্বহীনতায় ভুগছিলেন।

নেহেরুর বোনের এ দাবিকে মাউন্টব্যাটনের নাতিও সত্য বলে মনে করেন। তবে তার মতে, নপুংসকতা সত্ত্বেও নেহেরু এবং এডুইনার পরষ্পরের প্রতি রোমান্টিক অনুভূতি ছিল।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি মাউন্টব্যাটন দম্পতিকে নিয়ে ‘ভাইসরয়েস হাউজ’ নামে একটি ব্রিটিশ-ভারতীয় ঐতিহাসিক ড্রামা চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে।

এই চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফের সঙ্গে কথা বলেন মাউন্টব্যাটন দম্পতির নাতি অ্যাশলে হিকস।

অ্যাশলে বলেন, আমার দাদা যখন ১৯২১ সালে প্রিন্স অব ওয়ালসের সঙ্গে প্রথমবারের মতো ভারতে যান তখন থেকেই দেশটির সঙ্গে আমাদের পরিবারের সম্পর্ক। ওই সময় ২০ বছরের তরুণী এডুইনা নিজে নিজেই জাহাজের টিকেট কেটে দিল্লি যান।

জাহাজে মাউন্টব্যাটন এবং এডুইনাকে পানাহারের জন্য প্রিন্স তার কক্ষ ছেড়ে দেন। সেখানেই এডুইনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মাউন্টব্যাটন।

অ্যাশলে বলেন, প্রথমবারের এ সফর শেষে ব্রিটেন ফিরে যান তারা। পরে ব্রিটিশ ভারতের সর্বশেষ ভাইসরয় নিযুক্ত হয়ে ১৯৪৭ সালের মার্চে দিল্লি ফেরেন মাউন্টব্যাটন এবং তার স্ত্রী।

দিল্লিতে ফিরে আসার পর ভারতীয় সংস্কৃতি ও খাবারের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন লেডি মাউন্টব্যাটন।

ভাইসরয়ের প্রাসাদে খাবারের সময় অতিথিদের মধ্যে অর্ধেকই যেন ভারতীয় হয় তার জন্য জেদ করতেন তিনি।

ভারতীয়দের প্রতি এমন দুর্বলতার সূত্রেই লেডি এডুইনা কংগ্রেস নেতা নেহেরুর সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

ব্রিটিশ শাসিত ভারতের পরাধীনতার অবসান হয়ে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হলে স্বদেশে ফিরে যান মাউন্টব্যাটন দম্পতি।

পরে তারা ব্রিটেনের হাম্পশায়ারের ব্রডল্যান্ডসে বসবাস করেন।