প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় ব্যয়ে দলীয় প্রচারণা চালাচ্ছেন: ফখরুল

প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয়ে দলীয় প্রতীকের (নৌকা) পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জিয়া পরিষদের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পমাল্য অর্পণের পর তিনি এমন অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিরোধী দলকে ঘরে বন্দি রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয়ে দলীয় প্রতীকের (নৌকা) পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে প্রমাণ হয়, দেশে গণতন্ত্র নেই।’

তিনি বলেন, ‘একটি দলের সভাপতি রাষ্ট্রীয় ব্যয়ে হেলিকপ্টারে করে রাষ্ট্রীয় যন্ত্রকে ব্যবহার করে জনসভা করছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) একদলীয় শাসনব্যবস্থা করার জন্য এগিয়ে চলেছেন।’

‘অন্যদিকে সবক’টি বিরোধী দলকে তারা (সরকার) ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখেছে। আমাদেরকে একটা জনসভা করার অনুমতি দেয়া হয় না। কোনো মিটিং-মিছিল করতে দেয়া হয় না’ অভিযোগ বিএনপি মহাসচিবের।

নির্বাচনের সমান সুযোগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেয়ার বিষয়টি আমরা বরাবরই বলে এসেছি। নির্বাচনকে অর্থবহ করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিতে হবে, তাদের সভা-সমাবেশ করতে দিতে হবে। তা না হলে নির্বাচন অর্থহীন হয়ে দাঁড়াবে।’

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত সফরকে ফলোপ্রসূ করতে হলে সবার আগে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পানি সমস্যাসহ যেসব সমস্যা রয়েছে, তা সমাধান করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘শুধু তিস্তাই নয়, আমরা ৫৪টি নদীর কোনো ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছি না। তিস্তার পানি চুক্তি যদি না হয়, তাহলে অন্য কোনো চুক্তি অর্থহীন হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে কোনো চুক্তি এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।’

যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর সহযোগিতায় ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল- প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এসব বক্তব্য একেবারে ভিত্তিহীন, অসত্য ও বানোয়াট। ২০০১ সালে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে বিএনপি নির্বাচিত হয়েছিল।’

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তাহলে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার জবর দখল করে ক্ষমতায় বসে আছে। তারাও কি ‘র’ ও আমেরিকার সহযোগিতায় বসে আছে? এ প্রশ্ন তো এসে যাবে।’

এসময় জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর মুরাদ, সহসভাপতি অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, অধ্যাপক আবু তাহের, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক আবদুল লতিফ, অধ্যাপক আলী নুর রহমান, অধ্যাপক মাইনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।