রাগীব আলীর মামলার রায় ৯ মার্চ

পলাতক থেকে প্রতারণার মাধ্যমে পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশনার মামলায় সিলেটের বিতর্কিত শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে দায়ের মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে।

সোমবার যুক্ততর্ক শেষে আগামী ৯ মার্চ  বৃহস্পতিবার মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছেন বিচারক।

যুক্তিতর্কের সময় মামলার আসামি রাগীব আলী ও তার ছেলে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

নালিশকারীর নিয়োজিত আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী এসব তথ্য দিয়েছেন।

তিনি জানান, সোমবার আদালতে আরেকটি আবেদন করা হয়েছে। এতে রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই পলাতক থাকাবস্থায় পত্রিকা প্রকাশ করলেও অবৈধ প্রকাশনার ব্যাপারে তৎকালীন জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদিন কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার এই মামলার ৩ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলার বাদী ও ছাতক প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তালুকদার এ তথ্য জানান।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাগীব আলী ও আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা করেন গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। পলাতক অবস্থায় সম্পাদনাজনিত প্রতারণার অভিযোগে রাগীব আলীর ৫৮ বছর ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের ২৯ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেন মামলার বাদী।

আদালত ওইদিন মামলাটি আমলে নিয়ে দণ্ডবিধির ৪১৭ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন।

তবে সমন পাওয়ার পর জবাব না দেয়ায় পরের মাসে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

সিলেটের হাজার কোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখলের অভিযোগে দুটি মামলায় গ্রেফতরি পরোয়ানা জারির পর গতবছরের ১০ আগস্ট রাগীব আলী ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল হাই ভারতে পালিয়ে যান।

সেই সময় রাগীব আলী সিলেটের ডাক পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এবং তার ছেলে আবদুল হাই সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

পরে আব্দুল হাইকে সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হলেও রাগীব আলী স্বপদে আছেন।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মাধ্যমে তারাপুর চা বাগান দখল মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইয়ের ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন একই আদালত।

এদিকে, প্রতারণার মাধ্যমে দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখলে করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করা হলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে তা দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

এ মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলেসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।