‘রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি বিএনপিকে হতাশ করেছে’

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে গঠিত ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি আওয়ামী লীগ সরকারের পছন্দের কমিটি। এ সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপি শুধু হতাশই হয়নি ক্ষুব্ধ হয়েছে। এই কমিটির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারও ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করতে চায়।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র-শহীদ জিয়া: আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক ওই আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশের লেবার পার্টি।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি করছেন রাষ্ট্রপতি। নিয়মানুযায়ী সার্চ কমিটির সদস্যদের দেওয়া নামগুলো থেকে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন। আজ অথবা কালের মধ্যেই এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দুটি সূত্র জানিয়েছে, আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি ছাড়াও সার্চ কমিটিতে থাকছেন হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য শিরীণ আখতার।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিএনপি জানতে পেরেছে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ছয়জনকে নিয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছেন। রাষ্ট্রপতি আলোচনা শুরুর পরে একটি আশার আলো দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সেই আশা হতাশায় পরিণত হয়েছে, চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যে সার্চ কমিটি গঠন হয়েছে তা আওয়ামী লীগ সরকারের পছন্দের কমিটি। কারণ সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য—এগুলো সরকারের নিয়োগ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, কি নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে। আমরা শুধু হতাশই হয়নি, ক্ষুব্ধ হয়েছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি একটি প্রতিষ্ঠান। বিএনপির আশা করেছিল, তার কাছে নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত পাবে। সংকট নিরশনে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। এখনই বোঝা যাচ্ছে বাছাই কমিটি কি ধরনের ইসি গঠন করবে। এই কমিটির মাধ্যমে আবারও অন্ধকার গহ্বরের দিকে দেশকে ঠেলে দেওয়া হলো। আওয়ামী লীগ আবারও ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করতে চায়। ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়।