সার্চ কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে নাম প্রস্তাবের উদ্দেশ্যে গঠিত সার্চ কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ শনিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।

রিটে ইসি সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও আইন সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, সার্চ কমিটি গঠন সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক

সংবিধানের সপ্তম ১১৮ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চার জন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোন আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন।’

আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে (আহ্বায়ক) ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে গত ২৫ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ওবায়দুল হাসান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীণ আখতার।

শনিবারই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম বৈঠক করেছেন তারা।

১০ দিনের মধ্যে সার্চ কমিটিকে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সার্চ কমিটির সদস্যদের দেয়া নামগুলো থেকে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন।

উল্লেখ্য, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের একজন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজের মেয়াদ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য তিন নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি।

আওয়ামী লীগ এ কমিটিকে স্বাগত জানালেও বিএনপি বলছে, আওয়ামী লীগের পছন্দের লোকদের দিয়ে গঠন করা হয়েছে সার্চ কমিটি।

শনিবারও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,  বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা ছিল রাজনৈতিক সংকট নিরসনে একটি নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। কিন্তু ইতোমধ্যে গঠিত সার্চ কমিটি জনগণের সেই আশা আকাঙ্খা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাই রাজনৈতিক দল হিসাবে আমরা (বিএনপি) নতুন করে কোনো আশা দেখতে পাচ্ছি না।