সীমান্ত পেরিয়ে চীনে মিয়ানমারের শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ছে

মিয়ানমারে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর লড়াইয়ের মাত্রা যত বাড়ছে, ওই অঞ্চলের বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশ চীনে আশ্রয় নেওয়ার সংখ্যাও তত বাড়ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিনিধি সম্প্রতি চীনের ইউনান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ঘুরে এসে জানান, সেখানে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থী এবং ত্রাণ কর্মীরা সংঘর্ষের মাত্রা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সেখানকার একটি ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থাপক লি ইনঝ্যাং বলেন, “প্রতিদিনই (মিয়ানমার থেকে) আরও মানুষ আসছে। যতদিন পর্যন্ত তারা ফিরে যেতে না চাইবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা তাদের দেখভাল করব।” সেখানে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীরা মূলত মিয়ানমারের ককাং অঞ্চল থেকে আসা হান চীনা সম্প্রদায়ের মানুষ। গত ৬ মার্চ ককাং অঞ্চলের লাউক্কাই শহরে মিয়ানমার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপর অতর্কিতে হামলা চালায় বিদ্রোহী মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ)। এ হামলায় ৩০ জন নিহত হয়। হামলার পর ওই দিনই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুই মাসে সেনাবাহিনী সেখানে ছোট বড় মিলিয়ে ৫৬টি অভিযান পরিচালনা করেছে।

রবিবার এম এন ডি এ এ-র অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে পোস্ট করা ‘জরুরি নোটিশে’ বলা হয়, “যেহেতু লড়াই মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে, তাই ককাং অঞ্চলে এখন যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে।”