রুয়েটে ক্রেডিট পদ্ধতি বাতিলের দাবীতে আন্দোলন

পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নূন্যতম ক্রেডিট অর্জনের পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান করছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রুয়েটে ১৩ সিরিজের ব্যাচ বা ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নূন্যতম ৩৩ ক্রেডিট প্রাপ্তি বাধ্যতামূলক করা হয়। এই পদ্ধতিতে স্নাতক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীদেরকে ১৬০ ক্রেডিটে পরীক্ষা দিতে হয়। প্রথম বর্ষের দুই সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষায় ৪০ ক্রেডিটের মধ্যে শিক্ষার্থীরা ৩৩ ক্রেডিট পেলে পরবর্তী বছরে বর্ষে পদার্পনের কথা বলা হয়। ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ এই দুই শিক্ষাবর্ষের মোট ১৫০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৫০ জন শিক্ষার্থী ৩৩ ক্রেডিট অর্জন করতে পারেনি। ফলে ইয়ার ড্রপের মুখে পড়ে তারা।
এদিকে ৩৩ ক্রেডিট পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানিয়ে গত ২২ জানুয়ারি ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছিলো শিক্ষার্থী। স্মারকলিপিতে তারা প্রশাসনকে ৩ দিনের আল্টিমেটাল দিয়েছিলো। কিন্তু প্রশাসন এই ৩ দিনে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ার এই আন্দোলন শুরু করেছে তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রুয়েট ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম ক্রেডিট পদ্ধতি নেই। আমরা ক্রেডিট পদ্ধতি বাতিলের জন্য প্রশাসনকে বারবার অনুরোধ করলে তারা আমাদের কথায় কোনো গুরুত্ব দেননি। তাই আমরা বাধ্য হয়েই আন্দালন শুরু করেছি।’
কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আমরা আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে অবস্থান করবো। সন্ধ্যায় আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’
এব্যাপারে রুয়েট ভিসি প্রফেসর ড. মোহা. রফিকুল আলম বেগ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা একটা অযৌক্তিক দাবীতে আন্দোলন করছে।’
প্রসঙ্গত, একইদাবীতে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন ২০১৫ সালের আগষ্ট মাসে। পরে আন্দোলন থামাতে ঐই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।