স্বাধীনতা দিবসে প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে চড়!

মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদিন বলি সাংবাদিকদের কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সময় আমি প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে স্থান ত্যাগ করি। ওই সময় সংবর্ধনার সম্মানী নিতে আমার নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আমি না থাকায় সম্মানী নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষণ পরে এসে সম্মানী চাইলে উপজেলা কমান্ডার নিজাম উদ্দিন পাঠান প্রকাশ্যে আমাকে কষিয়ে একটি চড় মারেন।

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো. জয়নাল আবেদিন বলি (৯১) নামে প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে চড় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নিজাম উদ্দিন পাঠান নামে এক কমান্ডারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।

এতে ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা যায় সহযোদ্ধাদের মাঝে। রবিবার দুপুরে মার্চেন্টস একাডেমির মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ওই মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট (অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর) মো. জয়নাল আবেদিন বলি স্তব্ধ হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লে পৌর মেয়র অভিযুক্ত কমান্ডারের পক্ষে ক্ষমা চেয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে সান্ত্বনা দেন। তিনি উপজেলার ১নং উত্তর আবাবিল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বলি বাড়ীর মৃত মেহের আলীর বলির ছেলে।

মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদিন বলি সাংবাদিকদের কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সময় আমি প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে স্থান ত্যাগ করি। ওই সময় সংবর্ধনার সম্মানী নিতে আমার নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আমি না থাকায় সম্মানী নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষণ পরে এসে সম্মানী চাইলে উপজেলা কমান্ডার নিজাম উদ্দিন পাঠান প্রকাশ্যে আমাকে কষিয়ে একটি চড় মারেন। এতে হতভম্ব হয়ে স্থির থাকতে পারিনি। আমার বাবাও কখনও আমার গায়ে হাত দেয়নি। তাৎক্ষণিক কমান্ডারের পক্ষ থেকে মেয়র ইসমাইল খোকন এসে আমাকে জড়িয়ে সান্ত্বনা করে বিদায় দেন। তবে এসময় আবুল কাশেম ও নুর মিয়াসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ঘটনাটির ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অভিযুক্ত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিজাম উদ্দিন পাঠান বলেন, সংবর্ধনার সম্মানীর সময় লাইনে না থাকায় তার সঙ্গে একটু মজা করে গাল টেনে দেওয়ায় ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। পরে বিষয়টি পৌর মেয়র মীমাংসা করে দেন।