পরিবহন ধর্মঘট অযৌক্তিক: কাদের

এক চালককে আদালতের রায়ে কারাদন্ড দেওয়ার প্রতিবাদে দেশব্যাপী ডাকা পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই ধর্মঘটকে অযৌক্তিক আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, আদালতের রায়ে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলার অধিকার পরিবহন শ্রমিকদের নেই।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ভাষা শহীদদের স্মরণে এক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি বায়েজিদ আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মিরাজ হোসেন, উপ-প্রচার সম্পাদক মামুনুর রশীদ শুভ্র, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।

আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, আদালতের রায়ের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাই এ রায়ে জনগণ কেন ভোগান্তিতে পড়বে? কাজেই আপনাদের (আন্দোলনকারী) এ অযৌক্তিক ধর্মঘট জনস্বার্থে দ্রুত প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত।

মানিকগঞ্জের আদালতে চলচিত্রকার তারেক মাসুদ ও সংবাদিক মিশুক মুনীর নিহত মামলায় একজন বাসচালকের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের প্রতিবাদে বাস ধর্মঘট পালন করছিলেন কয়েকটি অঞ্চলের শ্রমিকরা। সরকারি পর্যায়ে বৈঠকের পর সেই ধর্মঘট প্রত্যাহার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল সোমবার। ওই বৈঠকের সময় আসে ট্রাকচালকের মৃত্যুদন্ডের খবর। ফলে নতুন করে পরিবহন ধর্মঘট ডাকেন শ্রমিকরা। সাভারের একটি সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নারী নিহত হওয়ার মামলায় সোমবার ঢাকার জজ আদালত মীর হোসেন নামের একজন চালকের মৃত্যুদন্ডের রায় দেন।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারাদেশে ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি দরকার। ছাত্রলীগ যদি সারা বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেয় এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হয়, তাহলে ছাত্রলীগের নামে যে সকল অপকর্ম হয়, তার পুনরাবৃত্তি রোধ সম্ভব হবে।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বেশি পড়াশোনার তাগিদ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতি করতে হলে পড়াশোনার কোন বিকল্প নেই। পড়াশোনা না করে নেতার পিছনে ঘুর ঘুর করলে, তখন নেতা যায়ই বলবে তুমি তাইই করবে। নেতা খারাপ কাজ করতে বলে তুমি তাই করবে। কিন্তু যখন তুমি পড়াশোনা করে নিজেকে সমৃদ্ধ করবে তখন নেতার খারাপ কাজের নির্দেশনাও তুমি মানবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতির গডফাদারদের পরিণতি করুণ। তাদের পরিণতি অস্বাভাবিক হয়। আমাদের দলে গণধিক্কৃত গডফাদার চাই না। দলে জনপ্রিয়, যোগ্যতাসম্পন্ন নেতাদের চাই। গডফাদারদের বিরুদ্ধে আমরা আপোষহীন লড়াই শুরু করছি। কেউ যদি নিজেকে গডফাদারের রুপে তৈরি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমাদের দলের অবস্থান কঠোর।