সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন টেইট

সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার শন টেইট। ৩৪ বছর বয়সী এই গতি দানব অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে তিনটি টেস্ট, ৩৫টি ওয়ানডে ও ২১টি টোয়েন্টি২০ ম্যাচ খেলেছেন।

ধারাবাহিক কনুইয়ের ইনজুরির কারণে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে টেইট উল্লেখ করেছেন। ২০০২-০৩ মৌসুমে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল টেইটের। পরের মৌসুমে তিনি শেফিল্ড শিল্ডে ৩০ উইকেট নিয়েছিলেন। শেফিল্ড শিল্ডে ধারাবাহিক পারফরমেন্সই শ্রীলংকার বিপক্ষে ২০০৪ সালে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তাকে জাতীয় দলে জায়গা করে দেয়। যদিও অস্ট্রেলিয়ার দলীয় ব্যবস্থাপনা শেষ টেস্টে দু’জন স্পিনার খেলানোর সিদ্ধান্ত নিলে ভিক্টোরিয়ার পেসার ব্র্যাড উইলিয়ামস মূল একাদশে জায়গা করে নেন। এরপর ২০০৫ সালে এ্যাশেজ সিরিজে ট্রেন্ট ব্রীজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার অভিষেক হয়। তবে টেস্ট অঙ্গনে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি টেইট। ২০০৮ সালের ২৯ জানুয়ারি হঠাৎ করেই শারিরীক ও মানসিক কারণে ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতির ঘোষণা দেন এই পেসার।

২০০৯ সালে টেইট প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। ২০১০ সালের জুলাইয়ে একবার তিটি লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘন্টায় ১৬১ কিমি বেগে বোলিং করেছিলেন। টেস্টে না হলেও সীমিত ওভারের ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করেন এই অসি পেসার। ২০০৭ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে টেইট ২৩টি উইকেট দল করে অস্ট্রেলিয়াকে শিরোপা জয়ে সহযোগিতা করেছিলেন। ঐ আসরেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্রস আইসলেটে তিনি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে মাত্র ৩৯ রানে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। ক্যারিয়ার শেষে তার গড় ছিল ২১.০৩, উইকেট সংখ্যা ২৮টি।

বিশ্বের বিভিন্ন টি২০ প্রতিযোগিতায় টেইট এডিলিড স্ট্রাইকার্স, এসেক্স, মেলবোর্ন রেনেগেডস, মিড ওয়েস্ট রিওনস, পেশোয়ার জালমি, রাজস্থান রয়্যালস, হোবার্ট হারিকেনস ও ওয়েলিংটনের হয়ে খেলেছেন। অবসর প্রসঙ্গে টেইট বলেছেন, আারো দুই বছর খেলার ইচ্ছা ছিল। সেটা যুক্তরাজ্য বা বিশ্বের যেকোন জায়গায়ই হোক না কেন। আমি জানি বয়স বেড়ে গেলে তরুণদের সাথে মানিয়ে নেয়াটা কষ্টকর হয়। এই বয়সে কনুইটা বেশ সমস্যা করছে। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া / বাসস।