সিরিয়ায় ‘গ্যাস হামলা’, জাতিসংঘের জরুরি বৈঠক

সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় একটি সন্দেহভাজন রাসায়নিক হামলার নিন্দা জানিয়ে জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।

এ ঘটনায় বিশ্বসম্প্রদায়ের তীব্র সমালোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য ক্ষমতাশীল দেশগুলো মানবিক বিপর্যয় ঘটানো ও কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যুর জন্য সিরিয়ান সরকারকে দায়ী করছে। তবে দামেস্কের কর্মকর্তারা রাসায়নিক হামলা চালানোর খবরটিকে পুরোপুরি অস্বীকার করে আসছে।

আর এই ব্যাপারটি নিয়ে ব্রাসেলসে জাতিসংঘের ৭০ টি দাতা দেশে একত্রিত হতে যাচ্ছে এবং সেখানেই সিরিয়ার বিরুদ্ধে যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়ার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সিরিয়ায় চলমান যুদ্ধে হাজারো বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়েছে। আর তাদের নিরাপদে উদ্ধারে মানবিক সহায়তা বাড়ানো উচিত বলেও মন্তব্য করেন তারা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল ইদলিবে সম্ভাব্য রাসায়নিক গ্যাস হামলায় ৫৮ জন নিহত হয়, যার মধ্যে আট বছরের কমবয়সী অন্তত ১১ জন শিশু রয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এবং চিকিৎসা কর্মীদের বরাত দিয়ে হতাহতের সর্বশেষ সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়। সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, ওই হামলায় ৬০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। তবে ইদলিবের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আহতের সংখ্যা ৩০০ বলে উল্লেখ করেছে।

তবে মঙ্গলবারের ভয়াবহ রাসায়নিক হামলার কারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বুধবারে এক জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে, যেখানে ইদলিবে সিরিয়ান সরকারী বাহিনীর হামলার কারণ খতিয়ে দেখতে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে আলোচনায় অংশ নিতে ডাকা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। বিবিসি।