ভারতে ক্ষোভের মুখে বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন

ভারতের রাজস্থানের জয়পুরে সাহিত্য উৎসবে যোগ দিতে এসে মুসলিম বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন বাংলাদেশের বিতর্কিত ইসলামবিদ্বেষী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সাহিত্য উৎসবে তসলিমাকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি খুব গোপন রেখেছিলেন আয়োজকরা। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে তার আসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোমবার একটি মুসলিম সংগঠন বিক্ষোভ দেখিয়েছে সাহিত্য উৎসব চত্বরে। অবশেষে আয়োজকরা বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দিতে বাধ্য হয়েছেন ভবিষ্যতে সাহিত্য সভায় তসলিমা, সালমান রুশদির মতো কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না।

একটি সূত্রে প্রকাশ, গোলযোগ সৃষ্টির আশঙ্কায় ওই লেখিকার আমন্ত্রণের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন আয়োজকরা।  তাকে একটি সাক্ষাৎকারমূলক আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক আগের মুহূর্তে বিষয়টি ঘোষণা করা হয়।

তসলিমা ওই অনুষ্ঠানে বলেন, “মেয়েদের অধিকার সুরক্ষিত করার স্বার্থেই ভারতে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ কার্যকর হওয়া জরুরি।“

ভারতে ক্ষোভের মুখে বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনতিনি বলেন, “হিন্দুদের জন্য যদি একটা আইন থাকে, হিন্দু মহিলারা যদি স্বেচ্ছায় স্বামীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকার পান, স্বামীর সম্পত্তিতে অধিকার থাকে এবং আমরা যখন দেখছি যে এই আইনটা কতটা প্রগতিশীল, তখন ‘ইসলামী মৌলবাদী’রা এ নিয়ে বিরোধিতা করছেন কেন?”

রাজস্থান মুসলিম ফোরামের ব্যানারে বিক্ষোভকারীরা তসলিমার বিরুদ্ধে তুমুল স্লোগান দেন এবং জয়পুরে সাহিত্য উৎসব (জেএলএফ) বন্ধ করার দাবি জানায়। এ সময় জয়পুর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়েসুঝিয়ে সাহিত্যসভার আয়োজকদের সঙ্গে সংলাপে রাজি করায়। জয়পুরে সাহিত্য উৎসবের (জেএলএফ) আয়োজক সঞ্জয় রায় তসলিমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না বলে আশ্বাস দেন।

এদিকে, তসলিমাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিভিন্ন মন্তব্য উঠে এসেছে। টুইটার বার্তায় একজন লিখেছেন, “তসলিমা ভারতীয় নন, তিনি আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কী করে কথা বলতে পারেন?” অন্য একজন লিখেছেন, “যারা আমাদের দেশের কেউ নন, তারাই এখানে এসে দেশভক্তি শেখাচ্ছেন।”