গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে চাই পদক্ষেপ

একাত্তরের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যক্তি, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। স্বীকৃতি আদায়ে সরকারকে পরিকল্পিত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রজন্ম ’৭১ আয়োজিত ‘জাগো বিশ্ব: একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি দাও’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ আহ্বান জানান বক্তারা।

প্রজন্ম ’৭১ এর সভাপতি শাহীন রেজা নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সরওয়ার আলী, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ, ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির প্রধান এম এ হাসান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী, শমী কায়সার ও আসিফ মুনীর।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের নেতৃত্বে থাকায় দেরিতে হলেও গণহত্যা দিবস ঘোষণা সম্ভব হয়েছে। ২৫ মার্চ টার্গেট করে গণহত্যা চালানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, অনেক বিসর্জন, ত্যাগ, তিতিক্ষার পরই আমাদের স্বাধীনতা। এ দেশ অসাম্প্রদায়িক। এ নিয়ে কোনো আপোষ করা যাবে না।

শ্যামল দত্ত বলেন, এ গণহত্যার কথা পাকিস্তান আজও স্বীকার করে না। দেশের ভেতরের দেশ বিরোধীরা এ গণহত্যার কথা স্বীকার করতে চায় না। পাঠ্যপুস্তকে  এবার যেটি দেখা গেছে সেটি আমাদের জন্য কি ইঙ্গিত বহন করে তা থেকে সাবধান  হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

আব্দুর রশিদ বলেন, গণহত্যাকে ভুলিয়ে দিতে বারবার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা গণহত্যা চালিয়েছে, গণহত্যার পক্ষে ছিল তারাই এ চেষ্টা করেছে। আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী যারা মানুষ হত্যা করেছে আর যারা হত্যায় সাহায্য করেছে উভয়েই অপরাধী।

তুরিন আফরোজ বলেন, অনেক দেরিতে হলেও গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি পেয়েছি। এবার আমরা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারব।