‘গণহত্যা দিবস পালন করে ইতিহাস বিকৃতি রোধ সম্ভব’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, গণহত্যা দিবস পালনের মাধ্যমে দেশে ও দেশের বাইরে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারীদের গণহত্যা অস্বীকারের অপচেষ্ঠা রোধ করা সম্ভব হবে।

একাত্তরের গণহত্যার সরকারি স্বীকৃতি ত্রিশ লাখ শহীদের মহান আত্মদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে যেমন নতুন প্রজম্মের আত্মপরিচয়ের সংকট মোচন হবে তেমনি ধর্মনিরপেক্ষ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙালি জাতিকে যে চরম মূল্য দিতে হয়েছে তা তারা জানতে পারবে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির গোলটেবিল বৈঠক মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন, দেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানাতে হবে। যাতে তারা তাদের পার্লামেন্টে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করতে পারে।

তিনি বলেন, যে সকল দেশ একাত্তরে সংগঠিত বাংলাদেশে গণহত্যার প্রতিবাদ ও নিন্দা করেছিল তাদের অনুরোধ করা হলে এ বিষয়ে তারা পার্লামেন্টে প্রস্তাব গ্রহণে সম্মত হবে বলে আশা করা যায়।

সংবাদ সম্মেলনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুল হুদা, সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসির মামুন, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ ও শহীদ কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী শম্পা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। বাসস