কক্সবাজারের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহজাহানের দুর্নীতি তদন্তে মুক্তিযোদ্ধারা হার্ডলাইনে

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত জেলা কমান্ডার শাহজাহানের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এক সভা অনুষ্টিত হয়।

যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ও মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার মোঃ আলী হোসেন।

জেলা কমান্ডের দায়িত্ব গ্রহণ করায় জেলা প্রশাসককে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, যুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুস সোবহান, প্রাক্তন কমান্ডার কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, প্রাক্তন কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, প্রাক্তন কমান্ডার সালেহ আহমদ, প্রাক্তন কমান্ডার রঞ্জিত কুমার, প্রবীন মুক্তিযোদ্ধা নেতা হারুনুর রশিদ, নূরুল হক, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল ওয়ারেজ, শাহাব উদ্দিন, শামশুল আলম মেম্বার, রমজান আলী, জামাল হোসেন, এনামুল হোসেন, মাহাফুজুর রহমান, মোহাম্মদ ফজলুল হক, নুরুল হুদা, নুরুজ্জামান, আব্দুর রশদ, দীন মোহামম্দ, মনছুরুল হক, কৃষ্ণ দাশ, সুদা সুশীল , মোহাম্মদ বাদশা, নুরুল কবির বাঙালী, নাছির আহমদ চৌধুরী, সালেহ আহমদ, কমরেড গিয়াস উদ্দিন, ফয়েজুল হুদা, আব্দুর রহিম, জামাল উদ্দিন, শামশু, নুরুল আলম ফেরদৌস, মোস্তফা আনোয়ার ইকবাল, সিরাজুল হক, আনোয়ার হোসেন, হারুনুর রশিদ, আরিফুর রহমান, ওসমান গণি, নুর মোহাম্মদ, জয়নাল আবেদীন, একে ফরিদ আহমদ, দিল মোহাম্মদ রুস্তমসহ জেলার আরো ৮০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সের চৌদ্দির মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দুটি দালানসহ যাবতীয় মূল্যবান আসবাবপত্রের উদ্ধার তালিকা (ইনভেন্টরি লিষ্ট) করণের তাৎক্ষনিকভাবে জেলা প্রশাসক আলী হোসেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে (এডিএম) নির্দেশ দেন। বিলুপ্ত কমিটির সকল দূর্নীতি তদন্তের নির্দেশও দেন তিনি। সভাশেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়-শহরের ঝাউতলাস্থ একটি জায়গায় মুক্তিযোদ্ধা স্কুল এন্ড কলেজ সাইন বোর্ড টাঙিয়ে সাবেক জেলা প্রশাসক গিয়াস উদ্দিনকে দিয়ে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন পরবর্তী সংবাদপত্রে স্বচিত্র ঘোষণা দেয়া হয়। পরবর্তীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত জেলা কমান্ডার শাহজাহান চক্র ওই জায়গাটি স্থাপনাসহ ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে দখল বিক্রি করে চলে আসে।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে চকরিয়া উপজেলায় ৩৩ একর চিংড়ি ঘেরটি বর্গা দিয়ে আয় করা গত ৬ বৎসরে ১৫ লাখ টাকার কোন হদিস নেই। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে চক্রটি বিধবা মহিলা থেকে জমি বন্দোবস্তি দখল দেয়ার নাম করে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে ২০ জন থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেন শাহজাহান চক্র।

সরকারি নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান করে দুর্নীতিবাজ শাহজাহান চক্র মহেশখালীর চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে মিথ্যা সার্টিফিকেট দিয়েছে। এই রকম অনেক দুর্নীতি রয়েছে যাহা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে জনগণ জানতে পারবে। স্মারকলিপিতে এই সব ঘৃণিত কাজের শাস্তি দাবী করা হয়।