দাম বাড়ল বিদ্যুতের, ডিসেম্বর থেকে কার্যকর

বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ

বিদ্যুতের দাম পাইকারি পর্যায়ে ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের গড় দাম ছিল ৫ টাকা ১৭ পয়সা, যা বাড়িয়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে নতুন এ দাম।

সোমবার দুপুর ১২টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেন বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল।

এ নিয়ে গত ১২ বছরে বিদ্যুতের দাম ৯ বার বাড়ল। এ সময় পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। সবশেষ দাম বাড়ানো হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, যা ওই বছরের মার্চ থেকে কার্যকর হয়। তখন পাইকারি পর্যায়ে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ বাড়ানো হয় দাম। একই সময়ে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

এর আগে বিইআরসি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তিনটি কারণে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব গত অক্টোবরে বাতিল করা হয়েছিল। পিডিবি ব্যাখ্যাসহ রিভিউয়ের আবেদন করে। কমিশন বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্তে এসেছে।

এ সময় বিইআরসি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কমিশন ১৫-২৫ শতাংশের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব চূড়ান্ত করে রেখেছে। এরই মধ্যে তা বিদ্যুৎ বিভাগে জমাও দেয়া হয়েছে। সরকার চাইলে এটি কিছুটা বাড়াতে বা কমাতেও পারে। এ ক্ষেত্রে সরকার কতটা ভর্তুকি দেবে তার ওপর নির্ভর করবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর হার।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে ইউনিটপ্রতি ৬৬ শতাংশ বাড়িয়ে আট টাকা ৫৮ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছিল পিডিবি। তবে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিকতা দেখছেন না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলেন, ব্যয়বহুল বলে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে, একই কারণে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ। এখনতো বিদ্যুতের দাম কমানো উচিত। পাইকারি দাম বৃদ্ধিকে কোম্পানিগুলো হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।

সাধারণত সরবরাহকৃত বিদ্যুতের পরিমাণকে বিবেচনায় নিয়ে বিতরণ কোম্পানির রাজস্ব নির্ধারণ করা হয়। সরবরাহকৃত বিদ্যুতের দামের সাথে বিতরণ কোম্পানির পরিচালন ব্যয় যোগ-বিয়োগ করে খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দেয়ায় বিতরণ কোম্পানিগুলোর রাজস্ব কমে গেছে। পাইকারি দাম বৃদ্ধি পেলে সেই সুযোগে কম উৎপাদনকে সামনে এনে বেশি করে দাম বৃদ্ধি চাইবে, যা কৌশলগতভাবে উপেক্ষা করার সুযোগ থাকবে না। ফলে গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে কোনো উপায় থাকবে না বলে তারা মনে করেন।

বিডিসংবাদ/এএইচএস