নরসিংদীতে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে স্কুল ছাত্রী’র লাশ উদ্ধার

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে মাত্র মাসাধিক কালের ব্যবধানে পূণরায় শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অপহরণের ২ দিন পর সাবিনা আক্তার মিতু (১১) নামের এক স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

১৮ মার্চ শনিবার রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে এই হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে। গুপ্ত ঘাতকরা তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা শেষে বাড়ীর পাশের একটি কলা গাছের ঝোপে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারী শহরের মহিলা কলেজ এলাকায় আবীর নামে ৭ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রকে অপহরণ করে হত্যা করার ১ মাস ৫ দিনের মাথায় এই শিশু মিতুকে একই কায়দায় হত্যা করা হয়েছে।

জানা গেছে, এই গ্রামের ইমান আলীর কন্যা সাবিনা আক্তার মিতু স্থানীয় হাসনাবাদ পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো। প্রতিদিনের ন্যায় ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার সে স্কুলের উদ্দেশ্যে বই-পুস্তকসহ বাড়ী থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যা নাগাদ স্কুল থেকে সে আর বাড়ী ফিরে আসেনি। এ অবস্থায় পিতা-মাতা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে তাকে কোথাও না পেয়ে ঘটনার পরদিন শুক্রবার এলাকায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে মিতু’র নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ প্রচার করে। এরপরও কেউ মিতুর সন্ধান দিতে পারেনি।

১৮ মার্চ শনিবার সকালে বাড়ীর অদূরে একটি কলাগাছের ঝোপের ভেতর এলাকার লোকজন মিতুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে। সংবাদ পেয়ে নিহত মিতুর পিতা-মাতা ঘটনাস্থলে যেয়ে তার লাশ সনাক্ত করে। হাসনাবাদ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোঃ আমিরুল শিকদার ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। শিশু মিতু’র রহস্যজনক হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।

পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের মাধ্যমে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্নয় করা যাবে। এ ব্যাপারে রায়পুরা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।