পার্বতীপুরে আপহরণের ১০দিন পর পালিয়ে রক্ষা পেল মা ও শিশু

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ  দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অপহরণের দশ দিন পর পালিয়ে রক্ষা পেল আদুরী বেগম (২২) ও তার ৫০ দিনের নবজাতক।

থানা সূত্রে জানা যায়, বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের সোনাপুকুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে আদুরী বেগম (২২) গত এক বছর পূর্বে নীলফামারী সদরের কাঞ্চন পাড়ার রব্বানীর ছেলে হেলালের সাথে তার বিয়ে হয়। শ্বশুর বাড়ি থেকে সন্তান প্রসবের জন্য বাবার বাড়িতে এলে দীর্ঘদিন থেকে ওত পেতে থাকা একই গ্রামের মোতালেব (২৫), পিতা- সিরাজুল ইসলাম ও একরামুল হকসহ তার সহযোগীরা ১৬ আগষ্ট গভীর রাতে আদুরীর শয়ন কক্ষ থেকে চেতনা নাশক ঔষধ স্প্রের প্রয়োগে অজ্ঞান করে সন্তানসহ বাড়ি থেকে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের  এক বাড়িতে আপহরণ করে নিয়ে যায়। মোতালেব  সেখানে  আদুরীর স্বামী হেলালকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এতে রাজি না হলে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চলতে থাকে। নির্যাতনের ১০দিনের মাথায় এক পর্যায়ে আদুরী তার শিশুকে নিয়ে সু-কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় গ্রহন করে। অপহরণের দিনই তার ভাই বাদী হয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ২৬ আগষ্ট বিকেলে অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ শিশুসহ আদুরীকে বাবার বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে আসে এবং ওসির নির্দেশে তার শারিরীক অবস্থার কথা বিবেচনা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

আদুরীর বাবা আইয়ুব আলী জানান, অপহরণকারীদের সাথে আমার জমি সংক্রান্ত একটি দ্বন্দ্ব রয়েছে। তারা আমার মেয়েকে অপহরণ করে ঘটনাটি ভিন্নভাবে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তিনি জানান, আমার মেয়ে জীবনবাজি রেখে অহরণকারীদের হাত থেকে পালিয়ে এসেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ মোস্তাক আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমের শারিরীক আবস্থার উন্নতি হলে তার জবানবন্দির ভিত্তিতে মামলাটি রেকর্ড করা হবে।