মিয়ানমার থেকে আসছে প্রচুর কোরবানীর পশু

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার সংবাদদতাঃ  ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে প্রচুর গরুমহিষ আমদানি বেড়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ করিডোর দিয়ে এসব গরু-মহিষ আসছে। এসব আমদানি করা গরুর দামও ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মিয়ানমার থেকে আমদানীকৃত পশু দিয়ে দেশে কোরবানীর চাহিদা পূরণে ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আমদানীকৃত পশুর ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডোর হয়ে পালে পালে প্রতিদিন বাংলাদেশে পশু আসছে মিয়ানমার থেকে। পশুর তালিকায় ছাগল মহিষ থাকলেও সবচেয়ে বেশি আসছে গরু।

টেকনাফের পশু আমদানীকারকরা বলেন, কোরবান উপলক্ষ্যে টেকনাফের ১০ থেকে ১২ জনের একটি ব্যবসায়ি সিন্ডিকেট মিয়ানমার থেকে গরু আমদানী করছেন।

তারা আরো জানান, মিয়ানমার থেকে পশু আমদানীর ফলে দাম কিছুটা কম। কোরবানকে ঘিরে মিয়ানমার থেকে আরো প্রচুর সংখ্যক পশু আমদানীর কথা ভাবছেন তারা।

টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা একেএম মোশারফ হোসেন বলেন, গত ২০ দিনে মিয়ানমার থেকে গরু আমদানীর সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি ছাড়িয়ে গেছে।

তিনি আরো জানান, পশু আমদানী খাতে গেল বছরের চেয়ে চলতি বছর বেশি রাজস্ব আদায় হচ্ছে। আবহওয়া অনুকুলে থাকলে দেশে পশুর চাহিদার পূরণের পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাঈন উদ্দন খান, মিয়ানমার থেকে আমদানীকৃত পশু সরবরাহের ক্ষেত্রে সড়ক পথ নির্বিঘœ করতে সার্বক্ষণিক কাজ করছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন,  আমদানীকৃত পশুর ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।