ব্লগার রাজীব হত্যা : ডেথ রেফারেন্সের শুনানিতে সুযোগ পেলেন রানা

ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভন হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সের শুনানিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেদোয়ানুল আজাদ রানা। তার আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট তাকে শুনানির সুযোগ দেয়।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ ন্যায় বিচারের স্বার্থে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামিকে এই  ‍সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন। আদালতের আদেশের পর রানার পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আবদুন নূর দুলাল। তিনি শুনানিতে বলেন, এই মামলার প্রত্যক্ষদর্শী কোনো স্বাক্ষী নেই। ‍শুধুমাত্র কয়েকজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে রানাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের জবানবন্দির ভিত্তিতে একজন আসামিকে সবোর্চ্চ শাস্তি দেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, এই মামলার এজহারে রানার কোনো নাম ছিল না। তিনি মালয়েশিয়া ছিলেন। এজাহারে যদি নাম থাকতো এবং এরপর তিনি দেশের বাইরে যেতেন তাহলে তাকে পলাতক বলা যেতো। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক বলেন, আসামির আইনজীবী যেসব যুক্তির অবতারনা করেছেন তা নতুন কিছু নয়। এগুলো ইতোপূর্বে এই মামলার শুনানিতে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী না থাকলেও ঘটনার পারিপার্শ্বিক স্বাক্ষ্য ও জবানবন্দির ভিত্তিতেই বিচারিক আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এটা বহাল রখাই শ্রেয়।

গত ৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট ২২ কার্যদিবস শুনানি গ্রহণ করে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখে। এই রায় অপেক্ষমান থাকা অবস্থায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই মামলার পলাতক আসামি রানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর রানার আইনজীবী আবদুন নূর দুলাল ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানিতে সুযোগ দেওয়ার জন্য ফৌজদারি কার্য বিধির ৫৬১ (ক) ধারায় আবেদন করে। বিচারপতি মো. রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানির সুযোগ দানের প্রশ্নে রুল জারি করে। ওই রুলটি হাইকোর্টে এই বেঞ্চে পাঠানো হয়। আজ বুধবার হাইকোর্ট রুলের ডেথ রেফারেন্সে অংশগ্রহণ মঞ্জুর করে রানাকে শুনানির সুযোগ দেয়।

২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পল্লবীতে নিজ বাসার সামনে ব্লগার রাজীবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ ওই হত্যার দায়ে মূল পরিকল্পনাকারী রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দ্বীপকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।