তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, ১০ গ্রাম প্লাবিত

কয়েকদিন আগেও যেখানে ধুধু চর ছিল সেখানে হঠাৎ প্লাবনে বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক রবিশস্য তলিয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে এ নদীর পানি ৫০ দশমিক ৬০ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে (নদীর পানি প্রবাহের বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ মিটার)।”

এ কারণে ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে বলে জানান মোস্তাফিজুর।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশীদ জানান,ভারী বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রবিবার রাত থেকে তিস্তা নদীতে পানি বাড়তে থাকে। সোমবার সারাদিন তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে নদী ৫০ দশমিক ৭০ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়।

নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ডিমলা উপজেলার ১০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও বহু ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন বলেন, ‘চারদিন আগে পানির অভাবে তিস্তা নদীর বুক ধুধু বালুচর ছিল। সোমবার রাতে উজান থেকে পানি আসায় চরখড়িবাড়ি ও পূর্বখড়িবাড়ি মৌজার আটটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওইসব গ্রামের মরিচ, পিঁয়াজ, রসুন ও তরমুজসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।’

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, ‘নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড় সিঙ্গেরসড় ও পূর্বঝাড় সিঙ্গেরসর গ্রাম প্লাবিত হয়ে কালোজিরা, মরিচসহ বেশকিছু ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।’