গাইবান্ধা-৫ আসনের আলোচিত উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ

ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনে আলোচিত উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এবারো ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বুধবার সকাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এর আগে, মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠানো হয় ইভিএমসহ নির্বাচনী সকল সরঞ্জাম। ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে এসব সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছে, ভোটার, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এদের মধ্যে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষায় আছেন পুলিশ ও আনসার সদ্যরা আর নির্বাচনী এলাকার নিরাপত্তায় বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের কুইকরেসপন্স টিম রয়েছে।

এ উপনির্বাচনের দায়িত্বরত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব জানান, নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রেই থাকছে সিসি ক্যামেরা। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাব, বিজিবি, স্ট্রাইকিং ফোর্স, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল টিম মাঠে কাজ করবে। কেন্দ্রেগুলোতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ১৪৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৯৫২ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও এক হাজার ৯০৪ জন পোলিং কর্মকর্তা।

এই নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মাঠে সক্রিয় আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী (জাপা) এএইচএম গোলাম শহিদ রঞ্জু (লাঙল)। তবে ভোটের মাঠে প্রচারণায় দেখা যায়নি বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমানকে (ট্রাক)।

এছাড়া গত ২৫ ডিসেম্বর অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ২৫ ডিসেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট কারচুপির আশঙ্কায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী গত ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আসনটিতে ১২ অক্টোবর উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে প্রথমে গোপন কক্ষে একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করায় ভরতখালি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, ফুলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং সাঘাটা উপজেলার রামনগর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে দফায় দফায় ৫১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে ইসি।

বিডিসংবাদ/এএইচএস