দুটি জাহাজ ডুবি : ১৩ নাবিক উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙরে সিমেন্ট ক্লিংকার বোঝাই দুটি লাইটারেজ জাহাজ ডুবে গেছে। সাগর উত্তাল থাকায় ঢেউয়ে তোড়ে পতেঙ্গা বেড়ি বাধেঁ আটকা পড়েছে আরো দুটি জাহাজ। সোমবার দুপুর থেকে বিকালের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

বন্দরের বর্হিনোঙরে  ডুবে যাওয়া জাহাজ দুটি হচ্চে এমভি হাজী কায়েস এবং এমভি অলিম্পিক- ২। তবে জাহাজ দুটির নাবিকরা নিরাপদে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে বলে বন্দর সুত্র দাবী করে।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) জাফর আলম জানিয়েছেন, সাগর উত্তালের কারণে বহিনোঙরে থাকা ক্লিংকারবাহী হাজি কায়েস সহ দুটি লাইটারেজ জাহাজ ডুবে গেছে। হাজি কায়েস ১৭ হাজার মেট্রিক টন ক্লিংকার নিয়ে বহিনোঙরে অপেক্ষায় ছিলো।
এছাড়া সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ ও বাতাসে নোঙর করে রাখা এমভি অনন্যাসহ দুটি লাইটারেজ পতেঙ্গা বাঁধের সঙ্গে আটকে গেছে।

বন্দর রেডিও কন্ট্রোল রুম সুত্র জানান, দুপুরে বন্দর থেকে সিমেন্ট ক্লিংকার নিয়ে অলিম্পিক-২ ও হাজী কায়েস নামে দুটি লাইটারেজ জাহাজ নারায়ণগঞ্জের দিকে রওয়ানা দেয়ার মূহুর্তে জোয়ারের তোড়ে ডুবে যায়। তবে জাহাজ ডুবে গেলে ও ঘটনায় বন্দর চ্যানেল নিরাপদ রয়েছে। চ্যানেলে জাহাজ চলাচলে সমস্যা হচ্ছে না বলে জানায় রেডিও কন্ট্রোল রুম।

এর আগে দুপুরে সাগর উত্তাল থাকায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রচন্ড ঢেউ ও বাতাসের তোড়ে নোঙ্গর ছিঁড়ে দুটি ল্ইাটারেজ জাহাজ পতেঙ্গ বেড়িবাঁধে কাছে চলে আসে। এম ভি অনন্যা-২ নামে গমবোঝাই একটি জাহাজের ১৪জন নাবিককে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।

কোস্টগার্ড পূর্বজোনের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বঙ্গোপসাগরে নিম্মচাপের প্রভাবে সৃষ্ট প্রচন্ড বাতাস ও ঢেউয়ের কারনে বর্হিনোঙরের পতেঙ্গা এলাকায় এম ভি হাজী কায়েদ নামক একটি লাইটার জাহাজের তলা ফেটে গিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। এ সময় কোস্ট গার্ড সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উক্ত জাহাজের ১৩ জন সদস্যকে জীবিত উদ্ধার করে। উদ্ধার শেষে তাদেরকে কোস্ট গার্ড জাহাজ সৈয়দ নজরুলে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা খাবার ও কাপড় প্রদান করা হয়।