নরসিংদীতে নগদ ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা বিআরটিএ’র সীল মেকানিক সুমন

নরসিংদী প্রতিনিধিঃ  ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে দুদক কর্মকর্তার নিকট হাতেনাতে ধরা খেয়েছে বিআরটিএ নরসিংদী’র সীল মেকানিক সুমন কুমার সাহা (৩৬)।  বৃহস্পতিবার দুদকের সহকারি পরিচালক রেজাউল করিম ফাঁদ পেতে তাকে গ্রেফতার করেছে। মামা নান্টু সাহা একই অফিসে চাকুরী করে অবাধে ঘুষ নিয়ে ঘুষের টাকা জমিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে কলকাতায় পাড়ি জমিয়েছে। ঘুষের খনিতে বসিয়ে দিয়ে গেছে ভাগিনা সুমন কুমার সাহাকে।

মামার পথ অনুসরণ করে সুমন বেপরোয়া হয়ে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা খেয়েছে দুদকের হাতে।ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, সুমনের মামা নান্টু সাহা দীর্ঘদিন ধরে বিআরটিএ অফিসে চাকুরী করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায়। সীল মেকানিক নান্টুর নাম সারা নরসিংদীতে ছড়িয়ে পড়ে। নান্টু নরসিংদীর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়নি। অবস্থা টের পেয়ে বছর কয়েক আগে নান্টু সাহা তার জমানো ঘুষের নগদ টাকাসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে কলকাতায় পাড়ি জমায়। তার স্থানে রেখে যায় তার ভাগিনা সুমন সাহাকে। সুমন চাকুরী পেয়ে মামার চেয়েও বেশি বেপরোয়া হয়ে যায়। কয়েক বছরেই তার দেহ ফুলে ফেপে মোটা হয়ে যায়। বাড়ি হয়ে যায় কয়েক তলা।

এ অবস্থায় তার নামও মানুষের মুখে মুখে উঠে যায়। সুমন মোটা অংকের ঘুষ নিলেও কর্মকর্তাদেরকে দিয়ে বেশিরভাগই আত্মসাৎ করে সে নিজে। সম্প্রতি ইয়াছিন আরাফাত নামে বেলাব উপজেলার এক ব্যক্তিকে কোন প্রকার আবেদন ও পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই ড্রাইভিং লাইসেন্স করে দিবে বলে ২৫ হাজার টাকায় দফা রফা করে। এর মধ্যে ইয়াছিন আরাফাত নগদ ১০ হাজার টাকা তাকে অগ্রীম প্রদান করবে। বাকী টাকা লাইসেন্স করে দেয়ার পর দিবে বলে জানান। এই অবস্থায় ইয়াছিন আরাফত ঘটনাটি দুদককে লিখিতভাবে জানালে দুদকের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম তাকে ধরার জন্য বৃহস্পতিবার ফাঁদ পেতে বসে থাকে।

ইয়াছিন আরাফাত তাকে নগদ ১০ হাজার টাকা দেয়ার সাথে সাথেই দুদক কর্মকর্তারা তাকে নগদ টাকাসহ হাতে নাতে ধরে ফেলে।

এ ব্যাপারে সুমনের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ ২নং আইনের ৫(২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।