পাশ্চাত্য ও রাশিয়ার মধ্যে দোলাচল : জর্জিয়া কি পরবর্তী ইউক্রেন?

বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ

সাবেক রুশ প্রজাতন্ত্র জর্জিয়ায় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য রাজধানী তিবিলিসিতে দ্বিতীয় দিনের মতো পানিকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছ। এনজিওগুলোর ‘বিদেশী তহবিল’ গ্রহণের বিরুদ্ধে একটি বিল পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আর এর ফলে জর্জিয়া পরবর্তী ইউক্রেনে পরিণত হতে যাচ্ছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশটিতে এই গোলযোগের পেছনে অনেকে রাশিয়া ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন পাশ্চাত্যের ভূমিকা দেখছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে।

ক্রুদ্ধ বিক্ষোভকারীরা বিলটির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তাদের মতে, এর ফলে এনজিওগুলো তাদের তহবিলের ২০ ভাগের বেশি ‘বিদেশী তহবিল’ পেলে তারা ‘বিদেশী অ্যাজেন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত হবে। তাদের মতে, রাশিয়ায় যে ধরনের কঠোর আইন পাস হচ্ছে, এটি তেমনই। এতে তাদের মৌলিক স্বাধীনতা কমবে, মতপ্রকাশের সুযোগ হ্রাস পাবে।

বুধবার রাতে বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে স্থাপিত ধাতব প্রতিবন্ধকতাগুলো ভেঙে ফেলে। পুলিশ এ সময় শক্তিপ্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

মঙ্গলবার রাতেও হাজার হাজার বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করে। তারা কেবল জর্জিয়ার পতাকাই নয়, সেইসাথে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পতাকাও বহন করে।

সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভকারী জর্জিয়া তার ইউরোপপন্থী নাগরিকদের ভাবাবেগ এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাশিয়ার ভূরাজনৈতিক লক্ষ্যের সাথে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে আসছে।
জর্জিয়া ২০২২ সালের মার্চে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্যপদের জন্য আবেদন করে।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেনসহ অনেক দেশই বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইজ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা জর্জিয়ার জনগণের পাশে আছি এবং তাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করছি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি জর্জিয়ার জনগণের প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন।

সূত্র : সিএনএন, বিবিসি ও অন্যান্য

বিডিসংবাদ/এএইচএস