রাঙ্গামাটিতে চবি ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী চায়না জেল হাজতে: পলাতক শাওনকে খুজঁছে পুলিশ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: আল্লাহ কে নিয়ে কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী সেই চায়না পাটোয়ারীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

শুক্রবার রাতে রাঙ্গামাটির নিজ বাসা থেকে প্রথমে নিরাপত্তার অজুহাতে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে জনৈক এহসান উদ্দিন নামে এক যুবকের দায়ের করা তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখায় কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

দন্ড বিধি ৫৭ এর ২ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার চায়না পাটোয়ারীকে রাঙামাটির আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ঝুমু সরকার এর আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।

জানাগেছে, চায়না পাটোয়ারী প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে যুক্ত। এবং সম্পাদকীয় পদে থাকা এই নেত্রীর পিতার নাম রঞ্জিত পাটোয়ারী। রাঙামাটি শহরের স্বর্ণটিলা এলাকায় তার বাসা।

কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রশিদ জানিয়েছেন, চায়না পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে দায়ের করা আইসিটি মামলায় সে দুই নাম্বার আসামী। এই মামলার এক নাম্বার আসামী হলো শাওন বিশ্বাস নামে আরেকজন। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

সুত্র জানায় শাওন বিশ্বাস বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছে। চায়না পাটোয়ারী ও শাওন বিশ্বাস উভয়েই বন্ধু এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে জড়িত।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ফেইসবুকে ইসলাম ধর্ম ও মহান আল্লাহকে নিয়ে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেয়ায় শহরের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এতে জনরোষ থেকে বাঁচাতে চায়না পাটওয়ারীকে শুক্রবার বিকেলে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, চায়না পাটওয়ারী ও তার বন্ধু শাওন বিশ্বাস গত ৩০ মে তার নিজের ফেইসবুকে হাই কোর্ট থেকে মূর্তি সরানোকে কেন্দ্র করে ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহ নিয়ে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দেয়। এতে নিজেদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ক্ষিপ্ত হয় রাঙামাটি শহরের বহু মানুষ। ধমীয় উষ্কানীমূলক ও অবমাননাকর স্ট্যাটাস দিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোকারি ছাত্র ইউনিয়নের অপর নেতা শাওন বিশ্বাসকেও গ্রেফতারের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

শুক্রবার জুমআর নামাজের পর রাঙামাটির রিজার্ভ বাজারে অনুষ্ঠিত হওয়া বিক্ষোভ মিছিলে এই দাবি তুলে মুসল্লিরা। এই দুইজনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে ধর্মপ্রিয় মুসলিম জনতা নিজেরাই তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে বলে মিছিল থেকে হুশিয়ারী প্রদান করা হয়।

পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ধর্মীয় উষ্কানী ছড়িয়ে উত্তেজনা ছড়ানোকারি এবং ধর্মকে অবমাননাকারি শাওনকে ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। তার অবস্থান সম্পর্কে সুনিদিষ্ট তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহবানও জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঔই পুলিশ কর্মকর্তা।