রামুতে ট্রাজেডি-ভুমিদস্যুর প্রধান আসামী রায়হানসহ ৫০ জনের মামলা

রামু সংবাদাদাতা: রামু উপজেলার হিমছড়িতে জবর দখলের উদ্দেশ্যে ১০ টি দিনমজুর ও অসহায় পরিবারের বসতঘরে ব্যাপক লুটপাট, অগ্নি সংযোগ ও গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় নের্তৃত্বদানকারী ভুমিদস্যু রায়হানকে প্রধান আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিন জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামী করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত নং-১ কক্সবাজারে মামলাটি দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত সিরাজুল ইসলাম।

অভিযোগে জানা গেছে, হিমছড়িস্থ পেচাঁরদ্বীপ সালসা রেস্তোরার দক্ষিণ-পূর্ব পাশে ১৯৯১ সালে ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দীর্ঘ দুই যুগ ধরে বনবিভাগের জমিতে বসবাস করছে অর্ধ শতাধিক পরিবার। তাদের সহায় সম্পত্তি ও জায়গা জমির উপর কু-দৃষ্টি পড়ে প্রভাবশালী ভুমিদস্যু রায়হান গংয়ের। লোভে বশিভুত হয়ে উক্ত জায়গা দখল করার জন্য রায়হানগং দীর্ঘদিন ধরে পায়তারা করে আসছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় ৫ জুন সকাল ৭টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রায়হান, তার ছেলে জেলা পুলিশ সুপার অফিসে আইটি বিভাগে কর্মরত ওয়াহিদ প্রকাশ ফুশুন ও ছৈয়দ কাছিম সহ  ৪০/৫০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী দা, লাঠি ও মারাত্মক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় ও ফিল্মি স্টাইলে উক্ত জায়গায় আক্রমণ করে খাইরুল বশরের বসতঘর দখল করে নেয়।  রায়হানগং ওই বসতবাড়িতে ডুকে মুল্যবান জিনিষপত্র, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা লুট কওে এবং সেখানে স্থিত একটি মুরগীর খামার ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।

রায়হান, মো. ওয়াহিদ সহ ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী খাইরুল বশরের বসতঘর, সিরাজুল ইসলামের বসতঘর ও মুরগির খামার চর্তুদিকে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। অগ্নিসংযোগ, লুটপাট দেখে সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্যরা আগুন নিভানোর জন্য গেলে রায়হানগং সহ অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী তাকে ও অন্যান্যদেও উপর হামলা চালায়। এতে আহত হন সিরাজুল ইসলাম, কাইরুল বশর, সিকান্দও আলী, নুরুল ইসলাম ধলু ও নারী শিশুসহ ১০ জন। অগ্নিসংযোগ সহ লুটপাটের ঘটনায় অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেলে রামু থানা মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরাম্পশর্ দেন।
এঘটনায় খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড হিশছড়ির পেচাঁরদ্বীপের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইল্লাহর ছেলে সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৬ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত নং-১ কক্সবাজাওে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসাী করা হয়েছে, কক্সবাজার পৌরসভার হাফেজ মিয়ার পশ্চিম পার্শ্বে দক্ষিণ টেকপাড়ার বাসিন্দা মৃত মো. আলী ছেলে রায়হান, তার ছেলে মো. ওয়াহিদ প্রকাশ ফুশুন, হিমছড়ি পেঁচারদ্বীপ এলাকার মছন আলীর ছেলে ছৈযদ কাছিম সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এদিকে, ভুমিদস্যু রায়হান ও তার ছেলে মো. ওয়হিত ৪০/৫০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে নিরীহ লোকজনের বাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও গড়িয়ে দেয়ার ঘটনা সাংবাদিকরা স্থিও ও ভিডিও চিত্র করে। এঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ৪ সাংবাদিকের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে রায়হানগং এর দায়েরকৃত মামলায় কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক ও আরটিভির সাংবাদিক সাইফুর রহিম শাহীন, কলকাতা টিভি ও দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের সাংবাদিক শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, দৈনিক আমাদের কক্সবাজারের সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন ও সাজ্জাদ হোসেন শুভকেও আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।

এ ঘটনায় কক্সবাজারের পুরো সাংবাদিক মহলে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠে। পুরো ঘটনার তদন্ত সহ মিথ্যা মামলা হতে অব্যাহতির দাবী উঠেছে সাংবাদিক মহল থেকে।