বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে অসুবিধা হয়, পা দু’টো একটু নড়ে৷ কিংবা অল্পতেই ঢলে পড়ে যায়। এরকম শারীরিক ভারসাম্যহীনতায় ভোগেন এমন মানুষের সংখ্যা দিনদিন বেড়ে চলেছে। জেনে নিন, এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু সহজ উপায়৷
শিশুকালেই শুরু
এক সমীক্ষায় জানা গেছে, জার্মানিতে প্রথম স্কুলে যাওয়ার জন্য শিশুদের যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় তাতে শতকরা ৫০ ভাগ শিশুরই ভারসাম্য বা সোজা হয়ে হাঁটা-চলায় কম-বেশি সমস্যা ধরা পড়ে। এরকম শিশুদের যেমন রাস্তায় একা ছাড়া উচিত নয়, তেমনি এদের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়াও জরুরি।
কেন হয়?
জার্মানির শরীরচর্চা সমিতির প্রধান ডা. ডিটার ব্রাইটহেকার জানান, হাঁটা-চলা কম করায় শরীর জড়োসড়ো এবং কুকড়ে যায়। আর এর ফলে পরে সোজা হয়ে দাড়ানো বা হাঁটাও একসময় কঠিন হয়ে পড়ে।
সোজা হয়ে হাঁটুন
প্রথমেই কয়েক মিটার লম্বা একটি সুতো বা ফিতে ফ্লোরের ওপর টেপ দিয়ে আটকে নিন। তারপর একদম সোজা তার ওপর দিয়ে হেঁটে যান৷ অসুবিধা হচ্ছে? এঁকে-বেঁকে যাচ্ছেন ? নিজেকে শক্ত রেখে আবার উল্টো দিকে ফেরত যান। নিয়মিত এভাবে করলে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।
পেশি শক্ত করতে যা করবেন
পেশি শক্ত হলেই ভারসাম্য ফিরে আসবে, তাই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। বিশেষ করে এক্ষেত্রে ছোট-বড় সকলেরই সাইকেল চালানো উচিত, কারণ, আমরা জানি সাইকেল চালানো শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য একটি সহায়ক ব্যায়াম।
ট্রাম্পলিন
বাড়িতে একটি মিনিট্রামপোলিন বা বাতাসভরা একটি বড় বালিশে প্রতিদিন পাঁচ থেকে দশ মিনিট দাঁড়িয়ে অনুশীলন করুন৷ উপকার পাবেন অবশ্যই।
ট্রেন বা বাসে
চলন্ত বাস বা ট্রেনে উঠে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকুন। যানটি আঁকাবাঁকা পথে যাওয়ার সময় নিজেকে সোজা রাখার চেষ্টা করুন।
প্র্যাকটিস
তাছাড়াও আপনি যখন সকাল এবং রাতে দ্রাত ব্রাশ করেন কিংবা এমনিতেই কখনো দাঁড়িয়ে থাকেন, তখন কিছুক্ষণ চোখ দুটো বন্ধ করে রাখুন।এভাবে প্র্যাকটিস করলে দেখবেন ভারসাম্য ফিরে আসছে, পা দুটোতে জোর পাচ্ছেন।
সহজ অনুশীলন
চেয়ার বা বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ানোর সময় কোনো সাপোর্ট ছাড়া বা কিছু না ধরে ওঠার চেষ্টা করবেন। কিছুটা সতর্ক হয়ে ওপরের নিয়মগুলো একটু মেনে চললে ছোট-বড় সকলেই ভারসাম্যহীনতা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন। এসব কথা জানান ডা. ডিটার ব্রাইটহেকার। ডিডব্লিউডি।