নৈশকোচে ৮ যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা: খালেদাসহ ৭৮ জনের নামে চার্জশিট

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জামায়াতের সাবেক এমপি ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে।

নৈশকোচে ৮যাত্রীকে পুড়িয়ে মারার মামলায় সোমবার কুমিল্লার একটি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার এস আই ইব্রাহীম।

এস আই ইব্রাহীম জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে যাত্রীবাহী নৈশকোচে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে ৮ যাত্রীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

এতে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ৫ নেতাকে হুকুমের আসামি ও জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি করে সর্বমোট ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় একটি নৈশকোচে নাশকতাকারীদের নিক্ষিপ্ত পেট্রলবোমা হামলায় ঘটনাস্থলে ৭ জন এবং পরে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে রাশেদুল ইসলাম নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়।

ওই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ও চৌদ্দগ্রামের সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, দলের কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, রুহুল কবির রিজভী ও সালাহ উদ্দিন আহমেদকে হুকুমের আসামি করে ওই দুটি মামলায় ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০জনসহ ৭৬ জনকে আসামি করা হয়।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে জাকির, মোতালেব ও আলমগীর নামে ৩ জন আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ মামলায় এজাহারভুক্ত উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি সাহাব উদ্দিন পাটোয়ারী পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়।

এছাড়া এজাহারভুক্ত সোহেল নামের এক যুবদল নেতার লাশ মহাসড়কের দাউদকান্দি এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত এ দুইজনসহ ছয়জনের নাম চূড়ান্ত চার্জশিটে বাদ দেয়া হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার এস আই ইব্রাহীম।