পিলখানা হত্যা মামলা: ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি ২ এপ্রিল

পিলখানা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ আসামির ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। মামলাটির পরবর্তী শুনানির জন্য ওইদিনের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

আসামির সংখ্যার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে শুনানি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ৩৫৯ তম দিনের (কার্যদিবস) মতো শুনানি হয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম জাহিদ সারওয়ার জানান, শুনানিতে এখন আইনি যুক্তি উপস্থাপন চলছে। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল অন্য মামলায় নিয়োজিত থাকায় এক মাসের সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দফতরে রক্তাক্ত বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। ওই ঘটনার পর ৫৭টি বিদ্রোহের মামলার বিচার হয় বাহিনীর নিজস্ব আদালতে।

আর হত্যাকাণ্ডের বিচার চলে বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত মহানগর দায়রা জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আখতারুজ্জামান ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এই হত্যা মামলার রায় দেন। এতে ১৫২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাশাপাশি অস্ত্র লুটের দায়ে তাদের আরো ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জারিমানা, অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক।

এছাড়া ২৫৬ আসামিকে তিন থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়। কারো কারো সাজার আদেশ হয় একাধিক ধারায়। অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে ২৭৭ জনকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা বেশিরভাগই বিলুপ্ত ঘোষিত বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদস্য ছিলেন। এছাড়া বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতাও এই মামলার আসামি।

ওই বিদ্রোহের পর বিডিআর ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নতুন নাম রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।