রিজার্ভ চুরিতে উ. কোরিয়ার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ রয়েছে: ক্যাসপারাস্কি

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার হ্যাকিংয়ের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সংযোগের বিষয়ে আরো ডিজিটাল প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম ক্যাসপারাস্কি। রাশিয়া ভিত্তিক ফার্মটি হ্যাকিং গ্রুপ ল্যাজারাসের বিষয়ে ৫৮ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

২০১৪ সালে সনির হলিউড স্টুডিওতে ও বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির সঙ্গে জড়িত হ্যাকিং গ্রুপ ল্যাজারাসের বিষয়ে এই প্রতিবেদনে ডিজিটাল প্রমাণের কথা উল্লেখ করা হয়। এই দুই ঘটনার জন্যই উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদনে বলা হয়, ল্যাজারাস উত্তর কোরিয়ার একটি আইপি অ্যাড্রেস থেকে ইউরোপের একটি সার্ভারে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করা হয়। ওই সার্ভার থেকেই বিভিন্ন হ্যাকিং কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় বলে ক্যাসপারাস্কির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ক্যাসপারাস্কির গবেষক ভিতালি কামলুক বলেন, এই প্রথম আমরা ল্যাজারাসের সঙ্গে উ. কোরিয়ার সরাসরি সংযোগ প্রত্যক্ষ করলাম। উ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে বরাবরের মতোই হ্যাকিংয়ের অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, দ. কোরিয়া ও সাইবার সিকিউরিটি ফার্মগুলো। তবে হ্যাকিংয়ের অভিযোগ বরাবরের মতোই অস্বীকার করে আসছে উ. কোরিয়া।

ক্যাসপারাস্কির প্রতিবেদনে বলা হয়, ল্যাজারাসের একটি ডিভিশন ব্লুনোরোফের অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যে ধারাবাহিক হ্যাকিংয়ের অংশ ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি। ব্লুনোরোফের টার্গেটের মধ্যে ছিল ১৮টি দেশের ব্যাংক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কোম্পানি, ক্যাসিনো ও ডিজিটাল কারেন্সি সেবা।

কামলুক বলেন, আমরা সুনিশ্চিতভাবে বলতে পারবো না উত্তর কোরিয়াই এই হ্যাকিংয়ের পেছনে রয়েছে। হ্যাকাররাও হয়তো চেষ্টা করে থাকতে পারে এই ধারণাটা সৃষ্টি করতে যে উ. কোরিয়া রয়েছে এই হ্যাকিংয়ের পেছনে। তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী উ. কোরিয়ার সংশ্লিষ্টতাই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা।

এর আগে গত মাসে মার্কিন কর্মকর্তারাও বলেছিলেন, উ. কোরিয়াই রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক হ্যাকিংয়ের পেছনে। এই বিষয়ে তদন্তের বিষয়ে অবগত একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, এফবিআই বিশ্বাস করে উ. কোরিয়াই এই হ্যাকিংয়ের জন্য দায়ী। গত মাসের ১৫ তারিখ মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির ডেপুটি ডিরেক্টর রিক লেজেট একটি আলোচনা সভায় বলেন, বেসরকারিখাতের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক হ্যাকিংয়ের সঙ্গে উ. কোরিয়া জড়িত। যদি এটা সত্যি হয় তাহলে বুঝতে হবে উ. কোরিয়া ব্যাংক লুট করছে। এটা অনেক বড় ঘটনা। রয়টার্স।