ন্যাশনাল এনার্জি হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায়-২০১৭ এ রানার আপ ডিআইইউ

বিডিসংবাদ ডেস্কঃ গত ১৯ ও ২০ এপ্রিল ২০১৭ রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ন্যাশনাল এনার্জি হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায়-২০১৭ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত টানা ৩৬ ঘণ্টার এ প্রতিযোগিতায়  দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান থেকে আসা প্রতিযোগিরা ২০০টি দলে অংশগ্রহন করে।

বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ন্যাশনাল এনার্জি হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা-২০১৭তে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর ক্যাটাগড়িতে রানার আপ শিরোপা অর্জন করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স (ইইই) বিভাগের ৬ শিক্ষার্থীর দল ‘সান-বিম’

বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন মোঃ ফিরোজ আহমেদ, শহীদুল ইসলাম, মোঃফ খান, মোঃ তানজিম হোসেইন, মোঃ মোস্তাফিজ রহমানমোঃ মারজান হোসেইন

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব নসরুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদেও হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

‘শিল্প ক্ষেত্র’ বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাটাগরিতে রানার আপ শিরোপা লাভের গৌরব অর্জন করে টিম সান-বিম। প্রতিযোগিতায় সান-বিম দলের সদস্যরা দুটি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে দুটি অভিনব প্রকল্পের ধারনা উপস্থাপন করেন। প্রতিযোগিতা শেষে বৃহৎ ও মধ্যম শিল্পে  জ্বালানী সংকট নিরসনে সৌর শক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত প্রকল্পের ধারনা উপস্থাপনের জন্য তারা রানার আপ হন।

টিম সান-বিমের উপস্থাপিত অপর প্রকল্প ছিল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য রূপান্তরিত বিদ্যুৎকে পাওয়ার গ্রিডের মাধ্যমে সঞ্চালন করা।

প্রতিযোগিতায় দেশের খ্যাতনামা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদেরকে  প্রকল্প উপস্থাপনের পাশাপাশি প্রকল্পের ব্যবসায়িক সম্ভাবনার দিকও তুলে ধরতে হয়। এছাড়া মঞ্চে তাদের বহুমুখী সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে হয়।

টিম সান-বিমের পুরো প্রকল্প তদারকি করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগ (ইইই) এবং প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বিভাগ।

উল্লেখ্য, এই ছয় শিক্ষার্থী সম্প্রতি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৩০ ভোল্টের ইউপিএস-আইপিএস উদ্ভাবন করেছে যা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান প্রস্তাবিত এই ইউপিএস-আইপিএস ইতিমধ্যে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, এই শিক্ষার্থীরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানীসহ বেশ কিছু গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করছেন।

বিডিসংবাদ/এএইচএস