সংসদ চত্বরে সুরঞ্জিতকে শেষ বিদায়

সাতবার সংসদ সদস্য হিসেবে সুনামগঞ্জের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সেই সংসদ চত্বরেই বর্ষীয়ান এই আওয়ামী লীগ নেতাকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা।

রোববার বিকাল ৩টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আনা হয় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহ।

শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে সুরঞ্জিতের জীবনী পড়ে শোনান সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ। পরে সুরঞ্জিতের ছেলে সৌমেন সেনগুপ্ত বক্তব্য দেন।

প্রথমে মুক্তিযোদ্ধা সুরঞ্জিতের প্রতি জানানো হয় রাষ্ট্রীয় সম্মান। তাকে দেয়া হয় গার্ড অব অনার।

এর পর সুরঞ্জিতের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ফুল দিয়ে বর্ষীয়ান এই সংসদ সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলের প্রবীণ নেতা সুরঞ্জিতের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও প্রয়াত এই সংসদ সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বিএনপির পক্ষ থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সুরঞ্জিতের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও বর্ষীয়ান এই রাজনীতিকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এছাড়া মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি রোববার ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ৭২ বছর বয়সে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পরলোকগমন করেন।