১২৯ রানের লিড পেল টাইগাররা

সাকিব আল হাসান এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাটে ভর করে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১২৯ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ৪৬৭ রানে অলআউট হয়।

৫ উইকেটে ২১৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সতর্কভাবে খেলতে থাকেন সাকিব ও মুশফিকুর রহিম। দলীয় ২৯০ রানে আউট হন মুশফিক। ৫২ রান করে লাকমালের বলে আউট হওয়ার আগে সাকিবের সঙ্গে ৯২ রানের জুটি গড়েন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

মুশফিকের বিদায়ের পর মাঠে নামেন মোসাদ্দেক। সাকিব এবং মোসাদ্দেক মিলে ১৩১ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন। সাকিব নিজের ক্যারিয়ারের ৫ম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন। তবে সেঞ্চুরির পর তার ইনিংস বড় করতে পারেননি সাকিব।

১১৬ রান করে সান্ডাকানের বলে আউট হন তিনি। সাকিবের ইনিংসটি ১০টি চারের মারে সাজানো। এরপর ভালোই খেলছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মোসাদ্দেক। তবে হেরাথের এক ওভারেই ব্যাকফুটে চলে যায় টাইগাররা। পরপর দুই উইকেট পড়ে যায়। মিরাজ ২৪ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। পরের বলেই ০ রান করা মোস্তাফিজ এলবি হন।

বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মোসাদ্দেক। তিনি ৭৫ রান করে হেরাথের বলে আউট হন।

এর আগে দিনেশ চান্দিমালের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৩৩৮ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। শ্রীলংকার পক্ষে চান্দিমাল ১৩৮ রান করেন।

বাংলাদেশের হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ৩টি এবং মোস্তাফিজুর রহমান, শুভাশিষ রায় ও সাকিব আল হাসান প্রত্যেকেই ২টি করে উইকেট লাভ করেন। এছাড়া তাইজুল ইসলাম ১টি উইকেট শিকার করেন।

জবাব দিতে নেমে প্রথম ইনিংসে শুভ সূচনা পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ বিকালে হঠাৎ ছন্দপতনে দ্বিতীয় দিনটা নিজেদের করে রাখতে পারেনি টাইগাররা।

দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের জুটিতে আসে ৯৫ রান। এই জুটির বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন ইমরুল কায়েস এবং সাব্বির রহমান। তারা ৬২ রানের জুটি গড়েন।

২ উইকেটে তখন বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জ্বল জ্বল করছিল ১৯২ রান। এরপর সান্ডাকানের এক ওভারেই ছন্দপতন শুরু হয়।

ওই ওভারে ৩৪ রান করা ইমরুল কায়েস সান্ডাকানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। পরের বলেই ০ রান করে আউট হন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামা তাইজুল ইসলাম।

পরের ওভারেই দারুণ ব্যাট করা সাব্বির রহমান সুরঙ্গা লাকমালের বলে ধনঞ্জয় সিলভার হাতে ক্যাচ দেন। সাব্বির ৪২ রান করেন।।