কাজী রফিকুল আলমকে সংবর্ধনা দিল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়

ইন্টারন্যাশনাল এডাল্ট অ্যান্ড কন্টিনিউয়িং এডুকেশন হল অব ফেম (আইএসিই হফ) সম্মাননায় অভিষিক্ত হওয়ায় ঢাকা আহসানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলমকে সংবর্ধনা স্মারক তুলে দিচ্ছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান।

বিডিসংবাদ ডেস্কঃ  ইন্টারন্যাশনাল এডাল্ট অ্যান্ড কন্টিনিউয়িং এডুকেশন হল অব ফেম (আইএসিই হফ) সম্মাননায় অভিষিক্ত হওয়ায় ঢাকা আহসানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলমকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

গতকাল বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে ‘সেলিব্রেটিং দ্য গ্লোরি অব সাকসেস’ শীর্ষক এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কাজী রফিকুল আলমকে সংবর্ধিত করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার সুয়ন সিটিতে অনুষ্ঠিত আইএসিই হফের ২২তম অভিষেক অনুষ্ঠানে কাজী রফিকুল আলমকে ইন্টারন্যাশনাল এডাল্ট অ্যান্ড কন্টিনিউয়িং এডুকেশন হল অব ফেম (আইএসিই হফ) সম্মাননায় অভিষিক্ত করা হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির  ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম মাহবুব উল হক মজুমদার ও বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম বলেন, আজ ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে যে সম্মান প্রদর্শন করেছে তাতে আমি গভীরভাবে আপ্লুত। নিজেকে ধন্য মনে করছি। এ সম্মান আমাকে আমার বিগত জীবনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। মহান প্রভুর দোয়ায় গভীর আত্মবিশ্বাস ও একাগ্রতা নিয়ে ১৯৮৮ সালে আমি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের দায়িত্বভার গ্রহণ করি। আল্লাহর অশেষ রহমত আর জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহকর্মীদের অসীম ধৈর্য ও একাগ্রতায় মিশন আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে, যার ফল সমাজের বিভিন্ন অবহেলিত জনগণ ভোগ করছে। তিনি বলেন, আমি ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পরিচালক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সৃষ্টের সেবা ও স্রষ্টার ইবাদতে নিজেকে উৎসর্গ করি। সৃষ্টিকর্তা আমার মোনাজাত কবুল করেছেন। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আজ দেশে-বিদেশে মানুষের কাছে সুপরিচিত নাম।

কাজী রফিকুল আলম আরও বলেন, আল্লাহর রহমতে আর আমার গুরু হজরত খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.) এর দোয়ায় আমি যখন যে কাজে হাত দিয়েছি সেই কাজেই সফলতা লাভ করেছি। মানুষ আমাকে ভালোবেসেছে, বিশ্বাস করেছে। গত ৪০ বছর ধরে আহ্ছানিয়া মিশনকে ঘিরে আমার সব ধ্যান-ধারণা, চিন্তা-ভাবনা আবর্তিত হয়েছে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান বলেন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ও কাজী রফিকুল আলমের মতো প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি আমাদের সমাজের রোলমডেল। তাদের কর্মকা-ে আমরা অনুপ্রাণিত হই। তাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যক্তি উদ্যোগে যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, তা সমাজে ব্যাপক অবদান রাখছে। যার অন্যতম উদাহরণ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। ভবিষ্যতে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সঙ্গে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করবে বলে জানান ড. মোঃ সবুর খান।

সভাপতির বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান বলেন, ঢাকা আহসানিয়া মিশন ও কাজী রফিকুল আলমের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। একজন ব্যক্তির একক অবদানে কীভাবে একটি দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা বদলে যেতে পারে তার উজ্জ্বল উদাহরণ কাজী রফিকুল আলম। তাঁকে সংবর্ধনা দিতে পেরে ড্যাফোডিল পরিবার নিজেই ধন্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেন  মোঃ সবুর খান।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের উদ্দেশ্য ও ড্যাফোডিল পরিবারের উদ্দেশ্য প্রায় অভিন্ন। এজন্য খুব শিঘ্রই এ দুটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করতে শুরু করবে। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যক্তিকেন্দ্রীক প্রতিষ্ঠানই বেশি আবদান রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই সমাজবদলকারীদের মিছিলে ড্যাফোডিলও যুক্ত হতে চায়। ইতিমধ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অনেক ধরনের সমাজসেবামূলক কাজ করছে, যেমন: দরিদ্র শিক্ষার্থীদেরকে বৃত্তি প্রদান করা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ৫ শতাংশ বৃত্তি প্রদানের বিধান থাকলেও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় কখনো কখনো ২২ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করেছে বলে জানান মোঃ সবুর খান।