নরসিংদীতে দালালদের খপ্পরে পরে স্বাস্থ্য সেবাগ্রহীতারা চরম ভোগান্তিতে

প্রাইভেট ক্লিনিক-হাসপাতাল সহ দালাল চক্রের মোটা অংকের টাকা বাণিজ্য

নরসিংদী প্রতিনিধিঃ  নরসিংদীতে জেলা হাসপাতালকে ঘিরে স্বাস্থ্য সেবার নামে গড়ে উঠা অসংখ্য ব্যাণিজ্যিক ক্লিনিক, হাসপাতালসহ ফার্মেসী সমূহের নিয়ন্ত্রনাধীন দালালদের খপ্পরে পরে আগত সাধারণ রোগীসহ পরিবারের সদস্যরা চরম ভোগান্তি ও হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নরসিংদীর ১০০শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রামাঞ্চলসহ বহিরাগত অতীব সাধারণ মানুষদের উন্নতমানের চিকিৎসা সেবার প্রলোভনসহ আর্থিক সহজলভ্যতার ফাঁদে ফেলে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ফার্মেসী সমূহের অবৈধ ব্যাণিজ্য রক্ষায় কমিশন ভিত্তিতে কর্মরত এক শ্রেনীর দালাল  চক্র নিয়মিত ভাবে প্রতিদিন শত শত রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতারিত করে আসছে।

স্বাস্থ্য সেবার  নামে  গড়ে উঠা ব্যাণিজ্যিক ক্লিনিক হাসপাতাল সমূহের নিয়ন্ত্রনাধীন অসাধু দালাল চক্রের সদস্যরা জেলা হাসপাতালের অভ্যন্তর থেকে শুরু করে সরকারী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের গেইট মূল ফটকসহ আশ-পাশ এলাকার সড়ক ও রাস্তায় সেবা গ্রহীতাদের গতিরোধ করে পরিকল্পিত মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে রোগীদের প্রাইভেট হাসপাতালের ভর্তি করে দালালচক্র মোটা অংকের টাকা লুটে নিচ্ছে। অপরদিকে সাধারন রোগীরা সুষ্ঠু স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশা-পাশি আর্থিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। দীর্ঘ ২২ বছর পূর্বে ১৯৯৫ সনের ২০ জুন- এ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছিল।

বিত্রনপির তৎকালীন মহাসচিব সাবেক এল.জি.আর.ডি মন্ত্রী মরহুম আঃ মান্নান ভূইয়া অনাড়ম্বর পরিবেশে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেছিলেন। পরবর্তীতে সরকারী পর্যায়ের হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাসাইল-তরোয়া এলাকাসহ পর্যায়ক্রমে অসংখ্য বাণিজ্যিক ক্লিনিক হাসাপাতাল গড়ে উঠে।

মুক্তি জেনারেল হাসপাতাল, ন্যশনাল জেনারেল হাসপাতাল, দি মেঘনা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার, সামিয়া ল্যাব এইড, ইউনাইটেড জেনারেল হাসাপাতাল, ইসলামীয়া প্রাইভেট হাসপাতাল, সেবা ডিজিটাল ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার, নরসিংদী কেয়ার, হলি লাইফ জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতাল, হযরত শাহজালাল (রাঃ) জেনারেল হাসপাতাল সমূহ সরকারী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালটিকে ঘিরে বাণিজ্যিক ভাবে স্বাস্থ্য সেবার নামে অসংখ্য ক্লিনিক ও  হাসপাতাল এবং বিভিন্ন ফার্মেসী গড়ে উঠে। বাণিজ্যিক স্বাস্থ্য সেবা নামধারী প্রতিষ্ঠানসমূহের অধিকাংশই মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের স্বক্ষমতা নেই বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ সকল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমান ঔষধ নেই। ঔষধ থাকলেও চিকিৎসক নেই, ঔষধের অতিরিক্ত মূল্য অদম্য নার্স অস্বাস্থ্যকর পরিবেশসহ বিভিন্ন অনিয়মের ফলে সাধারণ রোগীরা নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তিতে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি চরম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে।

ভুক্তভোগীরা উপরোক্ত বিষয়গুলোতে অভিযোগ করেছেন। বাণিজ্যিক হাসপাতাল-ক্লিনিক সমূহের দালাল চক্রের দূরত্ব বন্ধে ভূক্তভোগীরা কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করছেন।