ব্রিটেনে রেড লিস্টে বাংলাদেশের নাম, ফেরা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা

বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ

লাল তালিকাভূক্ত দেশের কোন নাগরিককে ব্রিটেনে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না – ছবি – বিবিসি

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশসহ চারটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর দেশে বেড়াতে আসা অনেক ব্রিটেন প্রবাসী উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে এপ্রিলের ৯ তারিখ ভোর ৪টা থেকে।

অর্থাৎ এর আগে যারা ব্রিটেনে প্রবেশ করতে চান তাদের যথাযথ নিয়ম মেনে দেশটিতে প্রবেশ করতে হবে।

সামিয়া আহমেদ তার স্বামী এবং দুই সন্তান সহ ঢাকায় এসেছিলেন মার্চের প্রথম দিকে।

দুই মাস থেকে মে মাসের দিকে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। সে অনুযায়ী ফিরতি টিকেট কাটা থেকে শুরু করে সব কিছু রয়েছে তার।

কিন্তু ব্রিটেন সরকার রেড লিস্টে যে বাংলাদেশের নাম তালিকাভুক্ত করেছে তাতে করে বিপাকে পরেছে তার পরিবার।

সামিয়া আহমেদ বলছেন, ‘চিন্তাও করিনি এই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে। এতো টাকা খরচ করে দেশে এসেছি, দুই মাস যদি না থাকতে পারি তাহলে তো হয় না।’

এখন ফিরে যাওয়া নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন তিনি।

তিনি বলছিলেন, ‘আজ সকাল থেকে এয়ারলাইন্সগুলোতে খোঁজ নিচ্ছি। ছুটির দিন হওয়াতে অনেক শাখা বন্ধ। ফোনে লোক পাচ্ছি না। ৯ তারিখের মধ্যেই যাতে পরিবারের জন্য টিকেট জোগাড় করতে পারি সেটাই এখন আমার একমাত্র চেষ্টা।’

নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনাটি ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হলেও হিসেব করা হবে তার আগের ১০ দিন থেকে।

এই সময়ে যেসব বাংলাদেশী যাত্রা শুরু করবেন, কিংবা যেসব যাত্রী বাংলাদেশসহ কেনিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপিন্সে ট্রানজিট করবেন তাদের ব্রিটেনের কোনো বন্দরে ঢুকতে দেয়া হবে না।

ব্রিটিশ কিংবা আইরিশ পাসপোর্টধারী যাত্রী এবং যাদের ব্রিটেনে বসবাসের অনুমতি রয়েছে, তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছেন না।

তবে তাদের সরকার অনুমোদিত কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ১০ দিন থাকতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম চৌধুরি উচ্চ শিক্ষার সুবাদে পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে থাকেন।

এপ্রিলের ১৪ তারিখে তার ফেরার কথা ছিল।

যেহেতু তার ব্রিটেনে বসবাসের অনুমতি রয়েছে, তিনি ৯ তারিখের পরেও যেতে পারবেন।

কিন্তু মূলত দুটি কারণে ৯ তারিখের আগেই যেতে চান।

সাইফুল ইসলাম বলছেন, ‘আমার ছেলের ক্লাস শুরু হবে। তাই আমাকে যেতেই হবে। এছাড়া সেখানে গিয়ে ১০ দিনের যে কোয়েরেন্টিনে থাকতে হবে তাতে করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মত লাগবে। এই বিশাল অংকের টাকা এখন খরচ করার ইচ্ছা নেই।’

তিনিও এখন সরাসরি ব্রিটেনে যায় এমন বিমানের সন্ধানে রয়েছেন।

এদিকে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি যে বিমান যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তার একটি।

এয়ারলাইন্সটির একটি সূত্র বলছে, গত দুইমাস ধরে এয়ারলাইন্সটির সপ্তাহে একটা ফ্লাইট যাচ্ছে ব্রিটেনে।

এখন নয় তারিখে আগে আরো একটি বিশেষ ফ্লাইট চালু করার কথা চলছে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।

সূত্র : বিবিসি

বিডিসংবাদ/এএইচএস