সৌহার্দ্য সম্প্রীতি ও অটুট বন্ধনের ৬৩ বছর!

মোঃ আনোয়ার হাবিব কাজল

৭x৮= ৫৬ থেকে ৭x৯= ৬৩,

গনিতের ছাত্র হিসেবে সবকিছুতেই গনিতের গন্ধ খোঁজা আমার স্বাভাব। ছোটবেলায় সাতের নামতায় শিখেছিলাম ৭x৮= ৫৬ থেকে ৭x৯= ৬৩। আজ বাবা-মার বিবাহ বার্ষিকী আর পরিবারের হিসেব কষতে গিয়ে অদ্ভূত একটা গানিতিক সাজুজ্য খুঁজে পেলাম। আমার বাবা-মা’র বিয়ে হয়েছিল ৮ জুলাই ১৯৫৬ সালে (৮-৭=৫৬ ) সে হিসেবে আজ আজ ৬৩ বছর অতিক্রম করলো তাদের বিবাহিত জীবনের। আর এ ৬৩ বছরে তাদের প্রাপ্তি সাত সন্তান ও ৯ সদস্যের পরিবার (৭x৯= ৬৩) যা এখন নাতী-নাতনীসহ হয়েছে ২৮ তা ও আবার ৭ এর গুনীতক।

বিশ্বসংসারে কত ঘটনাই না ঘটছে নিত্য। চমকে ওঠার মতো সব ঘটনা। রাস্তার পাশে সদ্যজাত সন্তানকে ফেলে রেখে যাচ্ছে মা, কোথাও আবার রেল স্টেশনে বৃদ্ধ মাকে ফেলে যাচ্ছে ছেলে! ভাইয়ের লাঠির আঘাতে মাথা ফাটছে ভাইয়ের, বোনের সঙ্গে বোনের রেষারেশি; মুখ দেখাদেখি হয় না দিনের পর দিন। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অনুকরণে আমাদের দেশের বৃদ্ধাশ্রমগুলোতেও দীর্ঘ হচ্ছে মা-বাবাদের লাইন। সংসারগুলো অহরহ গড়ছে আর ভাঙছে, ভাঙছে আর গড়ছে! ‘একান্নবর্তী পরিবার’ শব্দটি এখন রূপকথার বইয়ে ঠাঁই পাওয়ার অপেক্ষামাত্র। যৌথ পরিবারগুলো ভাঙতে ভাঙতে দুইজনের সংসারে এসে ঠেকেছে (নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি)। সেই সংসারও আবার টিকছে না। সারা দেশের অবস্থা কল্পনা করলে গা শিউরে ওঠে! এমন এক বৈরি সময়ে নিজেরাই চমকজাগানীয়া সংবাদ হবেন, তা বোধহয় ঘুনাক্ষরেও ভাবেননি মজিব-রাবেয়া দম্পতি। দুজনে দুজনার হয়ে সৈাহার্দ্য আর সম্প্রীতিতে সংসার ধর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার পাশাপাশি আত্মীয় স্বজনদের ভাল-মন্দের খোঁজখবর ও দেখভাল করে যাচ্ছেন।

জুলাইয়ের ৮ তারিখে তারা পূর্ন করতে যাচ্ছেন তাদের বিাবহিত জীবনের ৬৩ টি বছর অর্থ্যাৎ ৬৩তম বিবাহবার্ষিকী। ১৯৫৬ সালের ৮ জুলাই শহরের আলীম পাড়ার চৌধুরী ভিলায় সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের খান বাড়ীর মরহুম মমতাজ ঊদ্দিন নাজিরের বাসায় অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিনি তার নাতনীর (রাবেয়া বেগম মায়া’র) শুভ বিবাহের কাজ সম্পাদন করে ছিলেন সদর উপজেলার ২ নং আশিকাটি ইউনিয়নের রালদিয়া পাটওয়ারী বাড়ীর মোঃ মজিবুর রহমান পাটোয়ারীর সাথে। এ দম্পতি একইসঙ্গে কাটিয়ে দিলেন তেষট্টি বছর! ছয় দশকেরও বেশি সময়! হ্যাঁ, আমি আমার বাবা-মায়ের কথাই বলছি। চাঁদপুর জেলা শহরের চিত্রলেখার মোড়ের টিন শেড থেকে গড়ে উঠা আজকের গ্লোডেন প্লাজার বাসিন্দা মজিবুর রহমান ও রাবেয়া বেগমের কথা বলছি।

বয়সের প্রেক্ষিতে বিষয়টি বিস্ময়কর মনে হলেও মজিবুর-রায়েবা দম্পতির কাছে তা মোটেও বিস্ময়কর মনে হয় না। এতে অবাক হওয়ার কি আছে! হাসতে হাসতে ৮৬ বছর বয়সী মজিবুর রহমান পাটোয়ারি বলেন, ‘এটাই তো স্বাভাবিক। যতদিন বেঁচে থাকব ততোদিন ছেলে-মেয়ে নাতি নাতনি নিয়ে অটুট বন্ধনে একসঙ্গে থাকব—এতে অবাক হওয়ার কি আছে!’

তবে আশেপাশের মানুষেরা অবাক হচ্ছেন দেখে ও ভেবে। কারণ এই মজিবুর-রায়েবা দম্পতি কী নিদারুন কষ্ট করেই না ছেলেমেয়েদেরকে মানুষ করেছেন তা তারা চোখের সামনে দেখেছেন। সামান্য সরকারি চাকুরে ছিলেন মজিবুর রহমান পাটোয়ারি। কঠোর পরিশ্রম আর সততাই ছিল যার জীবনের আদর্শ ও ব্রত। তাই সরকারি চাকুরির সীমিত বেতনের টাকা দিয়ে সংসার চালাতে প্রায়শঃই হিমশিম খেতেন তিনি। তারপরও স্বামীকে নীতিভ্রষ্ট হতে অনুপ্রানিত করেননি। স্বামীর সততাই ছিল তার বড় অহংকার। প্রতি মাসের শেষের দিকে ছোট হয়ে আসত বাজারের ব্যাগ। আর তখন মা রাবেয়া বেগম তার বিচক্ষণতা আর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে পার করে নিতেন মাসের বাকী দিনগুলো। তবু কখনো ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার ব্যাপারে এতটুকু কমতি করেননি। বরং নিজের গলার হার বিক্রি করেও উৎসাহ যুগিয়েছেন সন্তানদের লেখাপড়ায়। ঋণ করে ছেলেমেয়েদের পড়ার খরচ জুগিয়েছেন। শেষের দিকে এসে জীবনের শেষ সম্বল পেনশনের টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছেন সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য। এমনকি শহরের সরকারি কলেজ মাঠ সংলগ্ন একমাত্র জমিটুকুও নিঃসংকোচে বিক্রি করে দিলেন সস্তানদের উচ্চ শিক্ষার ব্যয় মেটানোর জন্য। নিজেদের ভবিশ্যতের কথা না ভেবে কি দারুন আত্মত্যাগ করেন তারা। এসব নিয়ে তার কোনো খেদ নেই। অন্য মানুষরা যখন বলে, সারাজীবন শুধু চাকরিই করে গেলেন আর ছেলেমেয়েদের পেছনে সমস্ত টাকা নষ্ট করলেন, নিজের জন্য তো কানাকড়ির সম্পদও গড়লেন না—তখন মজিবুর রহমান পাটোয়ারি বলেন, ‘সম্পদ গড়ে কী হবে? শিক্ষার বিনিয়োগ হচ্ছে সবচেয়ে লাভবান। দুনিয়ার সম্পদ তো যেকোনো কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে, হারিয়ে যেতে পারে, ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। কিন্তু ছেলেমেয়েদেরকে যদি মানুষের মতো মানুষ হিসেবে তৈরি করতে পারি, তাহলে তারাই হবে অমূল্য সম্পদ। আমি তাই ছেলেমেয়েেদরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে আমার সর্বস্ব বিনিয়োগ করেছি মাত্র, নষ্ট করিনি।’ মনে মনে তারা স্বপ্ন এঁকেছিলেন ছেলেমেয়েরা একদিন উচ্চশিক্ষিত হলে এরকম অনেক জমিজমা বা বাড়ী গাড়ি কেনা যাবে। তাদের সে স্বপ্নও সত্যি হয়েছে। আমার মা একদিন আক্ষেপ করে বাবাকে বলেছিলেন, মানুষ সংসার করে অনেক কিছুই পায়, লক্ষ লক্ষ টাকার মালিকও হয় , ‘আর আমি কি পেয়েিেছ?’। তখন আমার বাবা আমাদের চার ভাইকে দেখিয়ে বলেছিলেন, এই হচ্ছে তোমার চারটি ব্যাংক ডিপোজিট (এফ ডি আর)। আজ শহরের চিত্রলেখার মোড়ের ‘গোল্ডেন প্লাজা’ বাবার সেদিনকার সে কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। তাদের সেদিনকার নিঃস্বার্থ ত্যাগের ফল হিসেবেই আজ মাথা উচুঁ করে দাড়িয়ে আছে গোল্ডেন প্লাজা।

আমার বাবার এই দর্শন মিছে নয়। তিনিই আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন সাময়িক কষ্ট হলেও, শত কষ্টের মধ্যে থেকেও জীবনে সৎ ভাবে চলা সম্ভব এবং সৎ উপার্জন দিয়েও জীবন নির্বাহ করা যায়। আজ তার ৭ ছেলেমেয়ের সবাই সততা ও আদর্শ নিয়ে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তারা প্রত্যেকে এক একজন সম্পদে পরিণত হয়েছে। আমার বাবা নিজের জীবনে বাড়ি গাড়ি কিছুই করতে পারেননি বর , সন্তানদের লেখাপড়া কারতে গিয়ে খুইয়েছেন অনেক সম্পত্তি, কিন্তু সন্তানরা এখন তাকে দুহাত ভরে সবকিছু দিচ্ছে। এখন তাদের প্রাপ্তির কোন অপূর্নতা নেই। দেশে বিদেশে ছেলেমেয়েরা আজ সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। বড়ছেলে আবদুল্লাহ ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি প্রকৌশলে স্নাতক এবং পরবর্তীতে কানাডার ব্রুক ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল এ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে এখন স্থায়ীভাবে থাকেন কানাডায়। তবু সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখেন মা-বাবার সঙ্গে। প্রযুক্তির এই যুগে দূরত্ব কোনো বাধাই নয়। নিত্য ইমো’তে কথাও হয় নাতি নাতনিদের সঙ্গে। দ্বিতীয় ছেলে গোলাম সরওয়ার কচি অত্যন্ত মেধাবী (হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিধ্যালয় থেকে ১৯৮০ সালে কমিল্লা বোর্ডে ১৭তম মেধাস্থান অধিকারি) হওয়া সত্বেও শুধুমাত্র বাবা-মায়ের পাশে অবস্থান করার জন্য চাঁদপুরেই থেকে যান এবং বর্তমানে সাহাতলী জিলানী চিশতি কলেজের সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। সেঝো ছেলে (লেখক নিজে) মোঃ আনোয়ার হাবিব কাজল, বেক্সিমকো গ্রুপের প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের নির্বাহী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে বর্তমানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ঊর্ধ্বতন সহকারি পরিচালক (জনসংযোগ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর ছোট ছেলে মোঃ আহসান হাবিব বাবুু বেক্সিমকো ইনফিউশনস্ লিমিটেডের সহকারি ব্যবস্থাপক (প্রকৌশল) হিসেবে কর্মরত। আর বড় মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার হাজীগঞ্জ মডেল গার্লস্ হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা। দ্বিতীয় মেয়ে জাফরিন আক্তার সপরিবারে কানাডা প্রবাসী। তৃতীয় মেয়ে নাছরিন আক্তার মতলব রয়মনেন্নেছা মহিলা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এবং সেঝো বউ শাহাজাদী আক্তারও একই কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক পদে কর্মরত। আমার বাবা আমাদেরকে লেখাপড়া কারতে গিয়ে আমাদের উদ্দেশ্যে সবসময় একটি কথাই বলতেন, আমার সাত ছেলে মেয়ের কাছ থেকে আমি শুধু সাতটি গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট চাই, কে কি চাকরি করবে এটা তোমাদের পছন্দ, কিন্তু আমার সাতটি গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট হাতে চাই। তার সে স্বপ্ন আজ সফল হয়েছে, আল্লাহর রহমতে আজ তার ঘরে সাতের বিপরীতে চৌদ্দটি গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেটের সমারোহ। শুধু তাই নয়, প্রতিটি সন্তানও তাদের হৃদয়ে লালন করে চলেছেন তাদের বাবা-মায়ের দেয়া পরিশ্রম, অধ্যবসায়, সততা ও ন্যায়ের বলিষ্ঠ আদর্শ।

বিভিন্ন উৎসব ও পারিবারিক আচার-অনুষ্ঠানে সব ছেলেমেয়েরা যখন বাড়িতে আসে তখন যেন চাঁদের হাট বসে তাঁর বাড়িতে। ছেলেমেয়েদের নাতি নাতনিদের কোলাহলে যখন মুখর হয়ে ওঠে বাড়িটা তখন আড়ালে চোখ মোছেন মজিবুর রহমান ও রাবেয়া বেগম। এ অশ্রু বড় আনন্দের, বড় প্রাপ্তির।

৮ জুলাইয়ে আরো একবার আনন্দাশ্রু বইবে মজিবুর রহমান-রাবেয়া দম্পতির চোখে। তাদের ৬৩তম বিবাহবার্ষিকী এবারও জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করার উদ্যোগ নিয়েছে নাতি নাতনিরা। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতিমধ্যে কানাডা থেকে মেঝো মেয়ে জাফরিন ও তার স্বামী আনিসুর রহমান আর একমাত্র মেয়ে ইরিনা দেশে এসেছে। এর আগে ২০১৬ সালে বড় মেয়ের ঘরের নাতনী কাজী হুমায়রা তাসনিম ইমার উদ্যেগে সবচেয়ে ঘটা করে পালিত হয়েছিল তাঁদের বিবাহ বার্ষিকীর হীরক জয়ন্তী। আজ সে ইমাও এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় স্বামীর সংগে স্থায়ীভাবে প্রবাসে জীবন যাপন করছে। ইমার স্বামী বুয়েট থেকে পাস করা এবং বাংলাদেশের প্রোগ্রামিং খাতের প্রথম রেড কোডার জয়ী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সতেজ বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ায় বিশ্বখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘গুগল’ এ কম্পিউটার প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। ইমা দেশে নেই তো কি হয়েছে? অন্য নাতি-নাতনীরাতো আছে। এবার তাদের পালা। এবার তারাই উদ্যোগ নিয়েছে ৬৩তম বিবাহ বার্ষিকী আয়োজনের। এমন ভাগ্য ক’জনের হয়? মজিবুর রহমান-রাবেয়া দম্পতি ভাবেন, ছেলেমেয়েরা যখন পড়ালেখা করছিল, সংসার জুড়ে টানাপোড়েন, তখন কোন ফাঁকে বিয়েবার্ষিকী চলে যেত টেরই পেতেন না তাঁরা। তখন একটাই লক্ষ্য ছিল, ছেলেমেয়েদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে, মানুষের মতো মানুষ করতে হবে। তাঁদের সেই প্রাণান্তকর পরিশ্রম আজ সার্থক হয়েছে। ফুলে ফলে ভরে উঠেছে সংসার। নাতি নাতনিরা দাদু-নানুর সেইসব পরিশ্রমের গল্প শুনে অভিভূত হয়। কেনই বা অভিভূত হবে না, তাদের দাদু-নানু যে দীর্ঘ ৬৩ বছর একসঙ্গে এক ছাদের নিচে থেকে অনন্য এক নজির স্থাপন করেছন! এই অভূতপূর্ব বিষয়টিকে উদযাপন না করলে কি হয়! ভাঙনপ্রবণ এই সমাজে সবকিছুই যখন ভেঙে পড়ছে তখন মজিবুর-রাবেয়ার এই দৃষ্টান্ত, এই বার্তা সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে নাতি নাতনিরা। তাই তাদের এই আয়োজন। ২০২১ সালে নীলা জয়ন্তী উদযাপনের আশাও তাদের রয়েছে আজকের এই দিনে মহান আল্লাহ তালার নিকট এ প্রার্থনাই করি, তিনি যেন তাঁদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন দান করেন। কষ্টের রজনী শেষে সুখ সাগরে যেন তাঁরা দীর্ঘদিন অবগাহন করতে পারেন, আগামী বছর নাতি-নাতনীরা যেন নীলা জয়ন্তী পালন করতে পারে, বটবৃক্ষের ন্যায় আমাদের নিরন্তর ছায়া বিতরন করে যাবেন সন্তান হিসেবে এটাই আমার প্রত্যাশা।

লেখক:
মোঃ আনোয়ার হাবিব কাজল
ঊর্ধ্বতন সহকারি পরিচালক (জনসংযোগ) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সম্মানিত সদস্য চাঁদপুর প্রেস ক্লাব