পদক পাচ্ছেন শোলাকিয়ার লড়াকু ৯ পুলিশ সদস্য

শোলাকিয়া ঈদগাহে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কোন হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছাড়াই অসীম সাহসিকতার সঙ্গে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্ধে অংশ নিয়ে আলোচিত কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুর্শেদ জামান বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এর জন্য মনোনীত হয়েছেন।

এছাড়া মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পাচ্ছেন শোলাকিয়ার চেকপোস্টে জঙ্গি হামলায় নিহত দুই পুলিশ সদস্য কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম ও কনস্টেবল আনসারুল হক। এই তিনজন ছাড়াও শোলাকিয়ায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পুলিশের প্রতিরোধযুদ্ধে অংশ নেয়া বিভিন্ন পর্যায়ের আরো ৬ জন পুলিশ সদস্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) এর জন্য মনোনীত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বর্তমানে চট্রগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মোস্তাইন হোসেন ও নায়েক নিকো চাকমা এই দুই জন বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং কনস্টেবল জুয়েল মিয়া, মো. মশিউর রহমান, রবিকুল ইসলাম ও তুষার আহম্মেদ এই চার জন প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) এর জন্য মনোনীত হয়েছেন।

আগামী ২৩ জানুয়ারি জাতীয় পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদকপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের হাতে এই পদক তুলে দিবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফারজানা জেসমিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এবছর মোট সারাদেশে মোট ১৩২জন ৪ ক্যাটাগরীতে পুলিশ পদক পাচ্ছে। ২০১৬ সালে পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃত স্বরুপ ২৬ জনকে বিপিএম, ৪১ জনকে পিপিএম এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্য নিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশসংনীয় অবদানের জন্য ২৪জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম (সেবা) এবং ৪১ জনকে পিপিএম (সেবা) পদক দেয়া হবে।