যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা: পাল্টা ব্যবস্থার অঙ্গীকার ইরানের

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জবাবে একই ধরণের পাল্টা ব্যবস্থার অঙ্গীকার করেছে ইরান।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর, প্রথম আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞায়, বারোটি কোম্পানি এবং ইরান ও চীনের তেরো জন ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। নিষেধাজ্ঞার এই তালিকায় রয়েছে ইরানের রিপাবলিক গার্ডের সদস্যরাও।

ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এর নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত প্রধান জন স্মিথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সন্ত্রাসের প্রতি ইরানের ক্রমাগত সমর্থন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উন্নয়ন ওই অঞ্চলে ও বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের প্রতি হুমকি তৈরি করেছে।’

রোববার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর শুক্রবার এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা আসে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে। এর আগে এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “ইরান আগুন নিয়ে খেলছে। তারা বুঝতে পারেনি প্রেসিডেন্ট ওবামা তাদের প্রতি কত দয়ালু ছিল। আমি নই।”

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবনার লঙ্ঘন। আর ইরান বলছে নতুন এ নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পরমাণু কর্মসূচি কমানো নিয়ে জাতিসংঘ সমর্থিত চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে ইঙ্গিত করে ইরান বলেছে একজন অনভিজ্ঞ ব্যক্তির অপ্রয়োজনীয় হুমকির কাছে তারা কোনভাবেই নতি স্বীকার করবেনা।

এদিকে সৌদি আরবের একজন সিনিয়র সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল আহমেদ আল আসিরি বিবিসিকে বলেছেন ওই অঞ্চলে ইরানের আচরণ পরিবর্তনের এটাই সময়। তিনি বলেন ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন বিষয়ে ইরানের নাক গলানো বন্ধ করতে হবে। বিবিসি