এমপি রানাকে কেন জামিন নয় : হাইকোর্ট

টাঙ্গাইল ৩ আসনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানেরহাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে এমপি রানার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার ও ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী টিকু।

গত সোমবার তার জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

এর আগে ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর ও ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চ রানার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। তারও আগে গত বছর ৯ অক্টোবর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এমপি রানার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার তিনদিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

সাংসদ রানা, তার তিন ভাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান মুক্তি এবং ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকনসহ মোট ১৪ জনকে আসামি করে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে।

এ মামলায় আমানুর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজতে পাঠান। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। ২৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া রানার জামিন নাকচ করে দিলে তিনি হাইকোর্টে আসেন।

এদিকে ফারুক হত্যা মামলার আসামি সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইকে সোমবার সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ।

২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর উপনির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা রানা। পরে আওয়ামী ফের যোগ দেন তিনি। তবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন তিনি।