নরসিংদীতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনিয়ম দূর্নীতির ফলে এস.এস.সি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে

নরসিংদী প্রতিনিধিঃ নরসিংদীতে বিগত সময়ের ন্যায় এবারও বিভিন্ন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীদের এ্যাডশিনের নামের অভিনব ফন্দি এটে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীণ শিক্ষা বোর্ড নিয়ন্ত্রনাধীন জে.এস.সি পরীক্ষা কারীণ দীর্ঘ ১০ বছরের অধ্যায়ন শেষে প্রতিক্ষিত এস.এস.সি পরীক্ষায় অংঅশ গ্রহণের জটিলতার নানা অজুহাতে বঞ্চিত শিক্ষার্থী, অভিভাবক, পরীক্ষার্থী সহ সচেতন মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পরেছে।

সরকারের সবার জন্য শিক্ষাতথা উচ্চ শিক্ষার হার বৃদ্ধিকালীন এস.এস.সি পরীক্ষার মতো অতীব গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রতিবারের ন্যায় এবারও পরীক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে বিভিন্ন প্রকারের অজুহাত দেখিয়ে এ্যাডমিশন গ্রহণ থেকে বঞ্চিতের মাধ্যমে মান সম্পন্ন শিক্ষা সহ উচ্চ শিক্ষা ব্যাহত করার পাশাপাশি কতিপয় বিদ্যালয়ে স্বার্থন্বেষী একটি চক্র অতিরিক্ত ফি আদায়ের নামে বনিজ্য করায় ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে।

নরসিংদীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী এস.এস.সি পরীক্ষার্থী, অভিভাবক সহ সচেতন মহল প্রতিবেদককে জানায়, সরকারের মানসম্পন্ন শিক্ষা উচ্চ শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে কতিপয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহ স্বার্থন্বেষী একটি শিক্ষক মহল প্রধান অন্তরায়। তারা বলেন, বিদ্যালয়ে পাঠ্যকৃত বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকদের নিকট বাধ্যতামূলক কোচিং পাঠদান, মাত্রাতিরিক্ত কোচিং ফি, কোচিং পাঠকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষায় অতিরিক্ত নম্বর প্রদান সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হলেও মায়া কোচিং পাঠদানে ব্যর্থ ওই সকল শিক্ষার্থী দের ক্ষেত্রে মেধা থাকা স্বত্বেও পরীক্ষায় দায়সাড়া নম্বর সহ সকল প্রকান শিক্ষা সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারের কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নিশেধাজ্ঞা থাকা স্বত্ত্বেও ব্যাঙের ছাতার মতো কোচিং সেন্টার সহ অধিকাংশ শিক্ষদের বাসা-বাী ও বিদ্যালয়ে শ্রেণী কক্ষে ব্যাপক হারে চলছে কোচিং। সরকারের স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বিভাগের পর্যাপ্ত মনিটরিং পরিদর্শন, জবাব দিহিতা দায়-সাড়া দায়িত্ব পালনের কারণেই বিদ্যালয় সমূহে পর্যায় ক্রমে নানা প্রকৃতির দূর্নীতি-অনিয়ম সহ এস.এ.সি পরীক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

এদিকে জে.এস.সি গনিত পরীক্ষার পূর্বে ১১ নভেম্বর সদর উপজলোর রাজাদী চিনিশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অনিয়ম-দূর্নীতিসহ বঞ্চিত এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণের সুযোগের দাবীতে শিক্ষার্থীদের এক মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

একই বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরীক্ষার্থী শরিফা বেগম, ঝিনুক, সজিব, মাসুদ, আমান, উর্মি, শান্তা, মোকাররম জানায়, এস.এস.সি পরীক্ষার নির্ধারিত  ১ হাজার ৭ শত টাকার স্থলে অতিরিক্ত প্রত্যেকের নিকট থেকে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫ শত টাকা ফরম পূরণ বাবদ আদায় সহ বিভিন্ন ভাবে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করে আসছে। শিক্ষকদের নিকট কোচিং না করায় এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে বাধ্য হয়ে আমরা এই মানবন্ধন করেছি।