বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়েই দেশের উন্নয়ন বন্ধ করে দেয়া হয় : প্রধানমন্ত্রী

আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের উন্নয়নে গ্রাম থেকে গ্রাম ছুটে চলতে শুরু করেন, ঠিক তখনই তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের উন্নয়ন বন্ধ করে দেয়া হয়। ৭৫’র পর যারা ক্ষমতায় এসেছেন তারা দেশের গৃহহীন মানুষের কথা চিন্তা না করে নিজের উন্নয়নে ব্যস্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে তার উত্তরসুরি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। ২০১৮ সালের মধ্যে দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। ক্ষুধা ও দরিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ব। ২০২১ সালে মধ্য আয়ের দেশ হবে বাংলাদেশ।

বুধবার লালমনিরহাটের সানিয়াজান নদীর তীরে গুচ্ছগ্রাম উদ্ধোধনীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের এ গুচ্ছগ্রাম উদ্ধোধন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি সাহস করে তাদের ক্ষমতার সময় ভারতের কাছে ছিটমহল বিনিময়ের দাবি তুলতে পারেনি। আমরা ক্ষমতায় এসে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি। সীমিত সম্পদ দিয়েই আমরা অসীম সমস্যার মোকাবেলা করব।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দেশকে জঙ্গি, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত তৈরি করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুর নাসের চৌধুরীর সঞ্চলনায় এ অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচিতি তুলে ধরেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেছবাহউল আলম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাগত বক্তব্যের পর সানিয়াজান গুচ্ছগ্রাম উদ্ধোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধোধনীয় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে লালমনিরহাট প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে উপস্থিত অতিথিগণ উদ্বোধনীয় ফলক উন্মোচন করেন। এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় এমপি মোতাহার হোসেন, অ্যাড. সফুরা বেগম রুমি এমপি ও লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মোনাজাত পরিচালনা করবেন গণভবন মসজিদের ইমাম মাওলানা আতিকুর রহমান। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই গুচ্ছগ্রামের সুবিধা ভোগী আমিনুর রহমান ও আফরোজা বেগমসহ অনেকের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষন কথা বলেন। লালমনিরহাট প্রান্তে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন।

একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্শ্ববর্তী পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার কোট ভাজনী বালাসুতি (বিলুপ্ত ছিটমহল) গুচ্ছগ্রাম উদ্ধোধন করেন।