মহেশখালীতে বিমান বিধ্বস্তে ক্ষতিগ্রস্থরা পাচ্ছে ক্ষতিপূরণ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: মহেশখালীতে বিমান বাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে। এ ছাড়াও উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া আহতদেরও ক্ষতিপূরণের তালিকায় রাখা হবে। বিমান বাহিনী এই ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ।

এরই মধ্যে অর্ধশতাধিক ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রশিক্ষণ বিমানের একটি মহেশখালীর পুটিবিলা এলাকার আব্দু সাত্তার বাড়িতে এবং আরেকটি ছোট মহেশখালীর লম্বাঘোনা বাজারের পাশে মাইজপাড়া এলাকার নুরুল আলম নুরুর পানের বরজ ও বেগুন ক্ষেতের ওপর পড়ে।

মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিহাদ বিন আলী বলেন, ‘বিমান বাহিনীর বিধ্বস্থ প্রশিক্ষণ বিমানটি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডেও মাইজপাড়া এলাকার নুরুল আলম নরুর বেগুন ক্ষেত ও পানের বরজে ওপর পড়ে। এতে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। নুরুসহ ক্ষতিগ্রস্থদের একটি তালিকা তৈরি করছে বিমান বাহিনীর লোকজন। তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে শুনেছি।’

সত্যতা নিশ্চিত করে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বিমান বাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এরমধ্যে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মহেশখালী পুটিবিলার গ্রামের আব্দু সাত্তারের বাড়ির ওপর পড়ে। এতে শিশুকন্যাসহ ওই বাড়ির তিন সদস্য আহত হয়েছে। অপর একটি বিমান ছোট মহেশখালীর লম্বাঘোনা বাজারের পাশে মাইজপাড়া গ্রামের নুরুল আলম নুরুর পানের বরজ ও বেগুন ক্ষেতের ওপর পড়ে। এ কারণে বিমান বাহিনী ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। এরইমধ্যে তাদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

বিমান বাহিনীর ৫০ সদস্যের একটি দল বিধ্বস্থ বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা পৃথকভাবে এ অভিযান শুরু করেছে। এ প্রতিনিধিদলকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছেন কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের একটি দল।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ সাফায়েত হোসেন জানান, ‘আজ সকাল থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর স্কোয়াডন লিডার মেজর নাজমুলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়েছেন। তারা বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ যেখানে পড়েছে ওই স্থানগুলো পরিদর্শন করে ধ্বংসাবশেষগুলো উদ্ধার করছে। বিমান বাহিনীর এই প্রতিনিধি দলকে সার্বিক সহযোগিতা করছে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

উদ্ধার অভিযানে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকা মহেশখালী পৌর সভার সাবেক চেয়ারম্যান সরওয়ার আজম বলেন, ‘সকাল থেকে বিমান বাহিনীর অফিসাররা ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করছে। উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষগুলো মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার হবে।’

প্রসঙ্গ, বুধবার (২৭) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মহেশখালী পৌরসভার দক্ষিণ পুটিবিলার বসতবাড়ির ওপর একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। অপরটি বিধ্বস্ত হয়ে মাইঝপাড়া গ্রামের পানের বরজের ওপর পড়ে। এ ঘটনায় ৪ পাইলটকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে বলে আইএসপিআর সূত্র জানিয়েছেন। ধ্বংসস্তুপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ।