সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে মহসিনের একচ্ছত্র আধিপত্যে ফুঁসে উঠছে আ’লীগের নেতাকর্মীরা

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে একটি প্রভাবশালী আওয়ামী পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে পদহিন যুবলীগ নেতা মহসিন ভূঁইয়ার একক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফুঁসে উঠছে গোদনাইল আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আধিপত্য বিস্তারকে কেস্ত্র করে দলের নেতাকর্মীরা কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করছেন নেতাকর্মীরা।

আ’লীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নারায়ণগঞ্জ সিটি এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের সকল মিল কারখানার ব্যবসা বানিজ্য দখল করে নিয়েছে নামধারী যুবলীগ নেতা মহসিন ভুইয়া। মহসিন ভুইয়া আওয়ামীলীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, সেচ্চাসেবকলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে এককভাবে এসব করছে। ফলে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা বেকার হয়ে পড়েছে। এনিয়ে মহসিন ভুইয়াকে বলার পরও সে একটি প্রভাবশালী পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে

দুরে রাখছে।  এ ব্যাপারে তারা থানা আওয়ামীলীগ ও মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
জানা গেছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মহসিন ভূঁইয়া প্রভাবশালী পরিবারের লোক পরিচয় দিয়ে নাসিক ৮ং ওয়ার্ডে সকল মিলকারখানার ব্যবসা বানিজ্য তার দখলে নিয়ে নেয়। পরে তার নিজস্ব লোক দিয়ে সকল মিলের ঝুট. অয়েস্টসহ বিভিন মালামাল ও টেন্ডার বানিজ্য করে থাকে। এতে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা কিছু বললই তার বাহিনীর সদস্যরা তাদের ভয় দেখিয়ে বলে মহসিন ভূঁইয়া একটি পরিবারের কাছের লোক। তার কথার বাহিরে গেলে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। ভয়ে আওয়ামীলীগের নেতারা কিছুই বলতে পারছেনা। অন্যদিকে নাসিক নির্বাচনের আগেই আওয়ামীলীগ নেতাদের ভয় দেখিয়ে তার পক্ষে সমর্থন নেয়। ওই সময় বলে নির্বাচনের পর আমি সকলকে নিয়ে কাজ করবো। তবে নির্বাচেন পরাজিত হয়ে মহসিন ভূঁইয়া পূর্বের ন্যায় তার দখলে নিয়েছে সকল ব্যবসা বানিজ্য। এতে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে ক্ষমতাশীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেক নেতাকর্মী বলেন, পদহীন নেতা হয়ে মহসিন ভূঁইয়া একটি পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে যে ভাবে দখল বাজি করছে তাতে মনে হচ্ছে আমরা আওয়ামীলীগ করিনা। তার কারনেই গোদনাইলে আওয়ামীলীগ ও এর অংগ সংগঠণগুলো বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরাও দেখে নিবো এর শেষ কোথায়। এ সমস্যা দ্রুত নিরসনে তারা থানা ও মহানগর আওয়ামীলীগেরশীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এ ব্যাপরে জানতে মহসিন ভুইয়ার মোবাইলে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নাম না প্রকাশের শর্তে মহসিন ভুইয়ার এক অনুসারি বলেন, নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীরা তার সাথে বেঈমানি করছে তাই এবার তিনি কাউকেই সাইড দেবেন না।