অগ্রণী ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা: ‘সকালের প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ নেই’

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সকালের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই। এজন্য অনুষ্ঠিত হওয়া পরীক্ষা বাতিল করা হয়নি।

এ বিষয়ে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান আবু তালেব বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এমনটি শুনে আমরা বিকালের পরীক্ষা বাতিল করেছি। তবে সকালের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের কোনো প্রমাণ আমাদের কাছে নেই। যদি এ ধরনের প্রমাণ পাই, তবে সকালের পরীক্ষাও বাতিল করা হবে।’

এর আগে শুক্রবার ব্যাংকার্স সিলেকশান কমিটি বিভাগের উপ মহা-ব্যবস্থাপক আরিফ হোসেন খান জানিয়েছিলেন, ‘সকালের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পেয়েছি। গভর্নর স্যারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরীক্ষা বাতিল হতে পারে।’

তবে শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা যুগান্তরকে বলেন, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো দায়িত্ব ঢাবির ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের। আমরা বিষয়টি আউটসোর্স করেছি। তাই এ বিষয়ে সার্বিক সিদ্ধান্ত তারাই নেবে। আমরা এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না।’

তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার ছিল, আর আজ শনিবার। এই সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন উপায়ে গণহারে প্রশ্ন ফাঁসের পরেও সকালের পরীক্ষা বাতিল না করায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

পরীক্ষার্থীদের দাবি, একই ঘটনায় দুই ধরনের সিদ্ধান্ত হতে পারে না। প্রশ্ন ফাঁসের পর বিকালের পরীক্ষা বাতিল করা হলে সকালের পরীক্ষাও বাতিল করতে হবে। নয়তো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।

এর আগে গত শুক্রবার সকালের ধাপের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অগ্রণী ব্যাংকের বিকাল ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। বিকাল ৩টা থেকে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্রণী ব্যাংকের শুক্রবারের নিয়োগ পরীক্ষার দুই ধাপে আড়াই লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা ছিল।

এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের একটি নিয়োগে পরীক্ষায়ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। গত ২১ এপ্রিল ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।