গাইবান্ধায় কালবৈশাখী ঝড়ে ৪ জনের মৃত্যু

বিডিসংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ

কালবৈশাখী ঝড়ে গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেলে জেলার কয়েকটি উপজেলায় হঠাৎ করেই শুরু হয় এই কালবৈশাখী ঝড়।

ঝড়ে নিহতরা হলেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আবদুল গাফফার (৪২) ও ডাকেরপাড়া গ্রামের ইউনুছ আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০)। ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারি গ্রামের বিশু মিয়ার স্ত্রী শিমুলি বেগম (২৬) ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কিশামত হলদিয়া গ্রামের সোলায়মান আলীর স্ত্রী ময়না বেগম (৪৭)।

এছাড়া ঝড়ে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ শুরু হওয়া ঝড়ে ঘরবাড়ি-গাছপালা ভেঙে পড়ায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা তিনটার দিকে হঠাৎ বৃষ্টিহীন কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এ সময় পলাশবাড়ীর জাহানারা বেগম বাড়ির উঠানে কাজ করছিলেন। একপর্যায়ে বাড়ির একটি গাছের নিচে চাপা পড়ে জাহানারা ঘটনাস্থলে মারা যান। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আবদুল গাফফার মোস্তফাপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে একটি গাছ তার ওপর পড়লে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বেলা সোয়া তিনটার দিকে সুন্দরগঞ্জের ময়না বেগম বাড়িতে কাজ করছিলেন। এ সময় একটি গাছ ভেঙে পড়লে তিনি গাছেন নিচে চাপা পড়ে মারা যান।

ফুলছড়ি থানার ওসি কাওছার আলী বলেন, ফুলছড়ি উপজেলার শিমুলি বেগম বিকেল পৌনে চারটার দিকে বাড়ির উঠানে কাজ করার সময় গাছচাপায় মারা যান।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা ইদ্রিশ আলী বলেন, ঝড়ে গাইবান্ধা জেলার অসংখ্য ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি।

এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন জানান, হঠাৎ বয়ে যাওয়া দমকা হাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে। ধানসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাতাসে গাছ ভেঙে পড়ায় সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলায় দুই নারী ও দুই পুরুষের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিডিসংবাদ/এএইচএস